মমতাজুল ইসলাম মনু টেকনাফ…
টেকনাফের নাফনদীর হ্নীলা পযেন্টে নাসাকা কর্তৃক গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশী জেলে মোঃ ফারুকের খোঁজ গত ৩ দিনেও মিলেনি। বুধবার বিকালে কাঁকড়া শিকারকালে নাফনদীতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর গত ২ দিন ধরে নাফনদীতে খোঁজাখুঁজি করেও গুলিবিদ্ধ ফারুকের কোন হদিস পায়নি বিজিবি ও স্থানীয় জেলেরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফের নীলা ইউনিয়নের গুদাম পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোছন প্রকাশ মাইন্যার ছেলে কিশোর জেলে মোঃ ফারুক ও ছৈয়দ আলমের ছেলে মোঃ ইসমাইল বুধবার বিকাল ৩ টায় নাসাকার পাস নিয়ে মিয়ানমার সীমান্তে কাকঁড়া শিকারকালে বিনা উস্কানিতে নাসাকা সদস্যরা গুলি চালায় বাংলাদেশী মাছধরার নৌকার উপর। তাতে দুই জেলের মধ্যে একজন প্রাণে বেঁচে গেলেও অপরজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নদীতে পড়ে গিয়ে অদ্যাবধি নিখোঁজ রয়েছে (সন্ধ্যা ৫-৩৫ টা এ রিপোর্ট লেখার পর্যন্ত)। প্রাণে বেছে যাওয়া মোঃ ইসমাইল তীরে এসে স্থানীয়দের ঘটনার বিবরণ দিলে পরদিন বৃহ¯পতিবার সকালে বিজিবির একটি দল মিয়ানমারে গিয়ে নাসাকার সাথে পতাকা বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে নাসাকা গুলিবর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলে জানান বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্যাপ্টেন এইচ কামরুল হাসান। ৪২ ব্যাটালিয়ান বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জাহিদ হাসান গুলিবর্ষণের ঘটনাটি রহস্যজনক উল্লেখ করে তিনি জানান, পালিয়ে আসা জেলে ইসমাইলের দেখানো মতে ঘটনাস্থল মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নাসাকার টহল পোস্টের নিকটে। কয়েক দিন আগে ২ রাখাইন যুবককে প্রায় ১২ হাজার পিস ইয়াবাসহ ওই এলাকা থেকে বিজিবি সদস্যরা আটক করে। এই ঘটনা ঘটার পেছনে স্থানীয় একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্রের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ইন্ধন থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। ===