বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের কনসালটেন্ট আমিনুর রহমান রানা কক্সবাজার নাজিরারটেক শুটকী মহাল পরিদর্মন করেছেন। শতশত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে গতকাল ২২ জুন বিকাল ৪টায় উক্ত শুটকি মহালটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তারা নাজিরারটেক মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর কার্যালয়ে শুটকি ব্যবসায়ী ও সুধী সমাজের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, নাসিবের সহ-সভাপতি আহসান কবির, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার ব্যবস্থাপক সেলিম উল্লাহ, সাবেক সভাপতি আতিক উল্লাহ সওদাগর, সমিতির সভাপতি শাহাদাত উল্লাহ, সম্পাদক খালেক বিন জাহেদ, সমিতির সাবেক কর্মকর্তা সরওয়ার আলম, সহ-সভাপতি মো. হাসেম, কোষাধ্যক্ষ বদর উদ্দিন বদ, সদস্য হেলাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, জালাল আহমদ, ওমর ফারুক বাদশা, মো. জাকেরসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পরিদর্শনকালে নেতৃবৃন্দ, শুটকি ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যাদি বিশেষ করে আর্থিক সমস্যা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক সকল সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে শুটকি ব্যবসায়ীদের আর্থিক সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে আশু বাস্তব পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। তিন বলেন, আমি বাংরাদেশের সর্ব দক্ষিণ জেলা কক্সবাজারে এতবড় একটি শুটকী মহাল থেকে সত্যিই আনন্দিত। এ মহালকে আধুনিকায়ন করলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় করতে পারবে। তিনি বলেন, আমি মনেকরি উক্ত মহালের ব্যবসায়ীরা সরকারী পৃষ্ঠ পোষকতা পেলে শুধু দেশের মাাঝে নয় সারা বিশ্বে কক্সবাজারের শুটকী পরিচিতি লাভ করবে। এব্যাপারে নাজিরারটেক শুটকী মহালের সাধারণ সম্পাদক খালেদ বিন জাহেদ বলেন, আমারা সরকারী কিংবা বেসরকারী কোন সহায়তা ছাড়া শুটকী উৎপাদন করে বাংলাদেশের রাজধানীসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরবরাহ করছি। যদি এ শুটকী মহালকে আধুনিকায়ন করে ব্যবসায়ীদের মাঝে সরকারী ভাবে ঋণ প্রদান করা হয় তাহলে সরকার এ মহাল থেকে কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
Leave a Reply