দৈনিক ইনকিলাব =চট্টগ্রাম ব্যুরো ও হাটহাজারী সংবাদদাতা : আগামী ১২ মে রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। একইসাথে আজ (বুধবার) এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৮ দলীয় জোটের আহূত হরতালে সমর্থনও জানানো হয়েছে। ঈমান-আক্বীদা রক্ষায় ৫ মে শান্তিপূর্ণ ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীতে নিরীহ আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতার উপর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাটহাজারীর মঈনুল উলূম মাদরাসার শিক্ষাভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত ৫ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের আলেম সমাজ ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ও পরিকল্পিত গণহত্যার শিকার। তারা রোববার মধ্যরাতে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনের দাবি জানান। একইসাথে নিহতদের সুস্পষ্ট তালিকা প্রকাশ করে তাদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্ল¬ামা জুনাইদ বাবুনগরীসহ নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ১৩ দফা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, এসব দাবি মেনে নেয়া না হলে হেফাজতে ইসলাম দেশের তৌহিদী জনতাকে নিয়ে কঠোরতম আন্দোলন শুরু করবে। পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় আগামী শুক্রবার দেশের সাড়ে ৪ লাখ মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাতের কর্মসূচীও ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীতে সহিংসতা ও কোরআন পোড়ানোর ঘটনার সাথে হেফাজতকে জড়িয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করা হচ্ছে অভিযোগ করে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেন, ঈমান-আক্বীদা রক্ষায় হেফাজতে ইসলাম শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করছে। কোন নাশকতার সাথে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা জড়িত নয়। বরং সরকারী দলের ক্যাডাররা এই অপকর্মে জড়িত।
সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী। এতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমীর আল¬ামা শাহ মুহিব্বুল¬াহ বাবুনগরী, নায়েবে আমীর আল্ল¬ামা হাফেজ মুহাম্মদ শামসুল আলম, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিম, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মুফতি জসিম উদ্দীন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আসাদ মাদানী, মাওলানা ফোরকান আহমদ, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়্যব, মাওলানা আবু তাহের আরবী, মাওলানা হাবীবুল¬øাহ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা হারুন বিন ইজহার, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, মাওলানা ইয়াসীন, মাওলানা আলমগীর, মাওলানা এমরান প্রমুখ।
ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীতে পুলিশি বর্বরতার বর্ণনা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত রোববার এদেশের আলেম সমাজ ইতিহাসের এক নিষ্ঠুরতম নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। এমন নিষ্ঠুরতম পরিকল্পিত হত্যাকা- বাংলাদেশে ইতিপুর্বে আর ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। এখনও এদেশের নিরীহ আলেম ও ধর্মপ্রাণ মানুষের রক্তের দাগ রাজপথে লেগে আছে, লাশ পড়ে আছে হাসপাতালে মর্গে, অজানা স্থানে। মহান আল¬াহ ও তার রাসুলের ভালবাসার টানে ঘর থেকে বের হওয়া হাজার হাজার নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষ এখনো ঘরে ফিরেনি। তারা কোথায় কি অবস্থায় আছেন, জীবিত আছেন কিনা আমরা কিছুই জানতে পারছি না। এক চরম বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশ অতিক্রম করছে উল্লেখ করে বলা হয় এমন ভয়াবহ বীভৎসতা যুদ্ধবাস্থাকেও হার মানিয়েছে।
রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকায় ৫ মে রোববার দিবাগত রাতে ঘুমন্ত, জিকিররত নিরীহ নিরস্ত্র লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ আলেম-ওলামার ওপর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের মুসলমান নামধারী সরকার রাতের আঁধারে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিশেষ অভিযানের নামে নৃশংস নির্মম, বর্বর অমানবিক হত্যাকা- চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এতে বলা হয়, সেখানে কত লোককে শহীদ করেছে সেই পরিসংখ্যান যাতে না পাওয়া যায়, সেজন্য সাথে সাথেই লাশ গুম করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, ট্রাক ভর্তি করে লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই লাশের সংখ্যা আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার পর্যন্ত হতে পারে বলে অনেকে আশংকা করছেন। সেখান থেকে আলামত দ্রুত সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে আহত করা হয়েছে। আলেমদের বেইজ্জতি করে ঢাকা থেকে বের হতে বাধ্য করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের রাজধানীতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল¬ামা বাবুনগরীকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হচ্ছে। অন্যান্য শত শত আলেমকে গ্রেফতার করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
রোববারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, ৫ মে দুপুর থেকে গুলিস্তান, পল্টন, বায়তুল মোকাররম বিজয়নগর, দৈনিক বাংলার মোড় এলাকায় বিনা উস্কানীতে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা শাপলা চত্বরগামী মিছিলের ওপর হামলা ও সরাসরি খুঁজে খুঁজে গুলিবর্ষণ করে অসংখ্য লোককে হত্যা ও আহত করেছে। যা টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশ বিদেশের মানুষ সরাসরি দেখেছে। তারা সেখানে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। পরে তা হেফাজতে ইসলামের ওপর দায় চাপানো অপচেষ্টা চালায়।
আল¬াহর সর্বোত্তম সৃষ্টি মানুষকে বিনা কারণে বিনা উস্কানীতে এভাবে ধবংস করার অধিকার কারো নেই। এটা আল¬াহ বরদাস্ত করবেন না। ক্ষমতাসীনদের যারা এই কাজের নির্দেশ দিয়েছেন, যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, যারা অতি উৎসাহী হয়ে এই কাজটি করেছেন, যারা সমর্থন দিয়েছেন, আলেমদের বুককে ঝাঁঝরা করতে যাদের বুক একটুও কাঁপেনি, তাদের জন্য পরকালেতো কঠিন পরিণতি অপেক্ষা করছেই, দুনিয়ায়ও ভয়াবহ নিষ্ঠুর পরিণতি, লাঞ্ছনা-গঞ্জনা আল¬াহর পক্ষ থেকে অপেক্ষা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমান শাসকের হাতে অরাজনৈতিক ঈমানী আন্দোলরত সংগঠনের একটি শান্তিপুর্ণ অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচীতে এভাবে পাখির মতো মানুষ হত্যার ঘটনা ইতিহাসে এক নজিরবিহীন কলংকজনক অধ্যায় হয়েই শুধু থাকবে না, বিনা কারণে এই গণহত্যা বিশ্ব রেকর্ড হিসেবেও ইতিহাসে লাল অক্ষরে লেখা থাকবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকার অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় কয়েক ঘন্টা ধরে পরিকল্পনা নিয়ে ভারী অস্ত্র নিয়ে রাস্তার আলো নিভিয়ে বর্বরতম এই কাজটি করেছে অভিযোগ করে এতে বলা হয়, এই নিষ্ঠুর নির্মম অমানবিক ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা আমাদের নেই। আমরা দেশবাসির বিবেকের ওপর এবং সর্বোপরি মহান আল¬াহ পাকের ওপর এর বিচারের ভার ছেড়ে দিলাম।
চলমান আন্দোলন সম্পর্কে বলা হয়, আমরা ১৩ দফা দাবি সরকারের কাছে পেশ করে সরকারকে সময় দিয়েছিলাম। সরকার ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানদের ঈমান আকীদা সম্পর্কিত এই ১৩ দফা বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোন আশ্বাস পর্যন্ত দেয়নি। বরং তাদের অনেকে এই ১৩ দফা বাস্তবায়ন করাকে মধ্যযুগে ফিরে যাওয়া, সংবিধানবিরোধী ইত্যাদি আখ্যায়িত করে উপহাস পর্যন্ত করে। আমরা ১৩ দফার ব্যাখ্যা দিয়েছি। আইনী ব্যাখ্যাও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পাঠিয়েছি। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবির দফা ভিত্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে সবগুলো দাবি কৌশলে প্রত্যাখ্যান করেন। আমরা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়ে দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচীতে যাওয়ার ব্যাপারে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছি। সরকার আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি।
৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে শুরু করা হয় এবং ঢাকা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঢাকার ৬টি প্রবেশদ্বারে লাখ লাখ নেতা কর্মী সাধারণ মানুষকে নিয়ে ঢাকা অবরোধ করে। হেফাজতের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হলে সরকার বায়তুল মোকাররমের অনুমতি না দিয়ে শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেয়। এরপর নেতাকর্মীরা দুপুর থেকে শাপলা চত্বরে আসতে শুরু করে। কিন্তু পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ঢাকায় প্রবেশের পথে সর্বপ্রথম সকালে গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চের কাছে হেফাজতের নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে আসতে বাধা দিয়ে তাদের ওপর গুলি চালায়। পরে দৈনিক বাংলার মোড় থেকে শুরু করে পল্টন, তোপখানা রোড়, গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত মিছিলে আক্রমণ করতে থাকে।
রহস্যজনক ব্যাপার হচ্ছে- একদিকে শাপলা চত্তরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল, অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে সমাবেশে আসতে থাকা হেফাজত কর্মীদের ওপর হামলা অব্যাহত রাখে এবং দুপুর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত পুরো এলাকায় পুলিশ পাখির মতো গুলি করে হত্যা করতে থাকে।
অন্যদিকে সরকারি দলের সন্ত্রাসী কখনো স্বরূপে কখনো হেফাজত কর্মী সেজে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করতে থাকে। রাস্তায় সাধারণ মুসল্লি¬দের লাশ পড়ে থাকে। উদ্ধার করতে যাওয়ার জন্য সাহস করছিল না কেউ। ফলে স্বাভাবিক কারণে সমাবেশে অংশ নেয়া লাখ লাখ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে সমাবেশস্থলে কর্মসূচী ঘোষণা করে সন্ধ্যার মধ্যেই সমাবেশ শেষ করার সুযোগ দেয়া হয়নি অভিযোগ করে বলা হয়, বাধ্য হয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে হেফাজতে ইসলাম সরকারকে অন্যপ্রান্তে হত্যাকান্ড বন্ধের আহবান জানায়। কিন্তু আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী ও সরকারি বাহিনী সন্ধ্যার পর আরো ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এরমধ্যেও হেফাজতে ইসলামের নেতারা পরদিন সকালের মধ্যে মহাসমাবেশ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে।
কিন্তু প্রশাসন হেফাজতের নেতাদের কথায় কর্ণপাত না করে নজিরবিহীনভাবে আগ্রাসী তৎপরতা চালানোয় উদ্ভূত ঘটনা অত্যন্ত পরিকল্পিত ও উস্কানীমূলক মনে হচ্ছে। শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি দেয়া, তারপর অন্যপ্রান্তে হামলা করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, সরকারী দলের নেতার পক্ষ থেকে দুই দফায় সংবাদ সম্মেলন করে সরে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়া এবং রাতে সমাবেশে হামলা চালিয়ে গণহত্যা পুরো ঘটনাই সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঈমানী দাবিতে আলেমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে সরকার নিজেদেরকে শতভাগ ইসলাম বিদ্বেষী ও নাস্তিক্যবাদী হিসেবে প্রমাণ করেছে। ৯০ ভাগ মুসলমানের এই দেশে এই ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী সরকারকে আর এক মুহূর্ত ক্ষমতায় দেখতে চায় না এদেশের মানুষ। সরকার বন্দুকের নলে, আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীকে জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে, দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে রাষ্ট্রীয়যন্ত্র ব্যবহার করে জুলুম নির্যাতন চালিয়ে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে দমিয়ে রাখার যে কৌশল নিয়েছে, এটা কখনো সফল হবে না বলেও উলে¬খ করা হয়।
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি এদেশের ১৬ কোটি তৌহিদী জনতার দাবি উলে¬খ করে বলা হয়, ৬ এপ্রিলে লংমার্চ, ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীতে লাখ লাখ লোকের স্বতঃষ্ফুর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এটা পরিস্কার হয়েছে যে, এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আলেম সমাজ ঘরে ফিরে যাবে না। সরকার হেফাজতকে আর বের হতে না দেয়ার হুমকী দিয়েছে উলে¬খ করে বলা হয়, কোন গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে জনগণের দাবি আদায়ের পক্ষে আন্দোলনরতদের এভাবে হুমকী দেয়ার নজির নেই।