হুমায়ূন আহমদের দারুচিনি দ্বীপ মূলত আধুনিক সেন্টমার্টিন দ্বীপ। তিনিই উপন্যাস লিখে ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করে এ দ্বীপকে দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। যার বদৌলতে পর্যটন মৌসুমে এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে থাকে। সেন্টমার্টিনে বাইরের লোকের প্রথম স্থাপনা হুমায়ূন আহমদের ‘সমুদ্র বিলাস’।জানা যায়, ’৯০ দশকের গোড়ার দিকে তিনি কয়েকজন বন্ধুসহ কান্ট্রিবোটে চড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দীর্ঘ প্রায় ৩৯কিলোমিটার নদী ও সমুদ্রপথ মাড়িয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেখতে যান। সেখানকার সমুদ্রের নীল পানিতে জীবন্ত প্রবালের ছড়াছড়ি ও চারদিকে সমুদ্রবেষ্টিত কেয়া গাছের প্রতিরোধমূলক আচ্ছাদন ও নারিকেল গাছে দ্বীপ ভরপুর দেখে তিনি মুগ্ধ হন।বার বার তিনি ছুটে গেছেন এই স্বপ্নের দ্বীপে। এক পর্যায়ে ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে সমুদ্রকে সামনে রেখে পশ্চিমমুখী করে একটি কাঠের তৈরি টিনসেড ঘর নির্মাণ করেন। এই ঘরের নাম দেন ‘সমুদ্র বিলাস’। একজন কেয়ারটেকার রেখে ঘরটির দেখভাল করতেন। কয়েক বছর আগে অনেকটা পরিত্যক্ত সমুদ্র বিলাসকে সংস্কার করে ট্যুরিজমের জন্য ভাড়া দেন।
সমুদ্র বিলাস-এ হুমায়ূন স্যারকে আর কখনো দেখা যাবে না ভাবতেই অবাক লাগছে!