নিজস্ব সংবাদদাতা , ঈদগাঁও…., কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে থামছে না জাল ভোটার আইডি কার্ড তৈরী ও সনদ টেম্পারিং। প্রশাসনের নাকের ডগায় দিব্যি এসব অবৈধ কর্মকান্ড সংগঠিত হলেও তারা দিনরাত শুধু নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। বৃহত্তর ঈদগাঁও’র অনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথিত কম্পিউটার সেবা প্রদানকারী দোকান গুলোতে এসব নকল ভোটার আইডি কার্ড তৈরী ও সনদ টেম্পারিং জালিয়তির ঘটনা ঈদগাঁওতে বলতে গেলে এখন ওপেন সিক্রেট। আইডি কার্ড জালিয়তির মাধ্যমে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই বিশেষ করে ওইসব লোকজন এসব প্রতিষ্ঠান সমুহে এসে ধরনা দিচ্ছেন। হুবুবু দেখতে একই রকম এসব নকল আইডি কার্ড বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষন না করলে আসল নকল পরখ করার কোন জো নেই। সরকারী চাকুরী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রায় সকল কাজে ব্যবহার হচ্ছে এসব জাল ভোটার আইডি কার্ড। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ঈদগাঁও বাজারের এক কম্পিউটার দোকানের অপারেটরের মতে ভোটার আইডি কার্ড নকল করাকে তিনি অপরাধ মূলক কর্মকান্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তার বক্তব্য হলো এসব আইডি কার্ড তৈরী করে বরং তিনি মানুষকে নানা ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন । তার ভাষায় একজন লোক কোন কারনে যদি তার আইডি কার্ডটি হারিয়ে ফেলে, তবে সেক্ষেত্রে আরেকটি আসল আইডি কার্ড পেতে লোকটির অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে ও দীর্ঘ ঝামেলার মুখোমুখি হতে হবে। এক্ষেত্রে সে এসব কম্পিউটারের দোকান থেকে খুব সহজে ও কম সময়ে একটি আইডি কার্ড তৈরী করে নিতে পারে এবং তার কাজটিও সহজে সমাধান করতে পারবে। এতে দোষের কি আছে? এসব কম্পিউটারের দোকান সমুহ শুধু জাল আইডি কার্ডই তৈরী করে না বিভিন্ন প্রকার সনদ জালিয়তির কাজটিও তারা অতি সুক্ষœ ভাবে সম্পাদন করে থাকে। কম্পিউটারে বিশেষ কায়দায় নাম ঠিকানা রিমোভিং ও স্ক্যাানিয়ের মাধ্যমে হুবুহু আসলের মতো তারা সনদ বানিয়ে দিতে পারে এক নিমেষেই। জাল সনদ পত্র ব্যবহার করে কেউ কেউ স্বীয় স্বার্থ হাছিল করতে পারলেও অনেকেই আবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এসব অবৈধ জাল আইডি কার্ড ও সনদ জালিয়তদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। অন্যথায় এদের কারনে লোকজন বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশংকা করছেন ভোক্তভোগীরা। জাল আইডি কার্ড ও সনদ জালিয়তি রোধ করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি কবির হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, খোঁজ খবর নিয়ে দায়ী ব্যাক্তিদের চিহ্নিত পূর্বক আমরা তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করব। শুধু পদক্ষেপ গ্রহনই শেষ কথা নয় সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ব্যাপারে আরো বেশী সচেতন ও যতœবান হওয়ার পাশাপাশি উপস্থাপিত কাগজ পত্র গুলো সঠিক কিনা তা যাচাই বাছাই করে দরকার বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
এস.এম.তারেক
৮/১২/১২