এটি এন ফায়সলে টেকনাফ =টেকনাফ স্থলবন্দরে মে মাসে রাজস্ব আদায়ে মাসিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এ মাসে মাত্র ৪ কোটি ৫ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরের মে মাসে ১৩৮টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৪ কোটি ৫ লাখ ৩৭৫ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর বিপরীতে মিয়ানমার থেকে ২১ কোটি ৭২ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৮ টাকার পন্য আমদানি হয়। টেকনাফ শুল্ক বিভাগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ৫ কোটি ৪১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৭ টাকার মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ মাসে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৯২ টাকার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে।
অপরদিকে ৫১টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৭২ লাখ ১৭ হাজার ৭শ টাকার পন্য রপ্তানি করা হয়। তবে আমদানীর পাশাপাশি গত মাসের তুলনায় রপ্তানীও কমে যায়। আমদানী ও রপ্তানী বৃদ্ধিতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ মাসে কাঠ, হিমায়িত মাছ, বাঁশ, বেত, গবাদী পশু আমদানি হয়। বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস গেঞ্জী ও গেঞ্জী কাপড়, এলমুনিয়াম, সিমেন্ট, প্লাষ্টিক, পাইচছা, চুল, ফেয়ার এন্ড লাভলী রপ্তানি করা হয়।
টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানায়, মে মাসে প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ দেশে নানা সমস্যার করনে পন্য আমদানি কমে যাওয়ার কারনে রাজস্ব আদায়ে ধ্বস দেখা দেয়। তবে সীমান্ত বানিজ্য গতিশীল করতে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থার কথা জানায় তিনি।