হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ ব্রীজ নির্মাণে দেরী এবং ব্রীজের উভয় পাশে কানেকটিং সড়ক নির্মাণ না করায় টেকনাফ-শামলাপুর সৈকত সড়কে গত প্রায় ১ মাস যাবৎ যানবাহণ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ টেকনাফ কক্সবাজার চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। ২২ জুন জুমাবার, বাহাড়ছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় বালি ও নিম্নমানের পাহাড়ী পাথর দিয়ে তৈরী করা ব্রীজের দু‘পাশে শতাধিক গাড়ি ও শতশত যাত্রী জড়ো হয়ে আছে। এ সময় বাহারছড়ার চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান শওকত আলী এ প্রতিবেদকে মানুষের এ দূর্ভোগের কথা দেখিয়ে দিয়ে মরণ ফাদঁটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানান। উক্ত ব্রীজে ব্যবহৃত পাথর গুলো এতই নিম্নমানের ছিল যে, স্থানীয় একজন তা দাঁেত ভেঙ্গে মিডিয়া কর্মীদের দেখান। গ্রামে লোকজন জানায়- স্থানীয় বালি মেশানো ও নিম্নমানের পাহাড়ী পাথর দিয়ে নির্মিত ব্রীজটি যে কোন সময় ধবসে যেতে পারে । এ ব্রীজ নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এবং বিকল্প রাস্তা তৈরী না করায় ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁেদে পরিণত হয়েছে। ফলে উপকূলীয় ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত শহর টেকনাফ আসতে ও টেকনাফ থেকে বিকল্প পথে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠিকাদার এই ব্রীজের নির্মাণ কাজ কোন রকম শেষ করে পালিয়ে গেলেও কানেকটিং সড়কের অভাবে এখনো ব্র্রীজটি মরণফাঁদে রয়ে গেছে। প্রতিদিন এই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ দূঘর্টনার শিকার হচ্ছে। স্থানীয় কতিপয় যুবক যাত্রীদের এই দূর্দশা দেখে মহিলা, শিশু, রোগী ও বিভিন্ন মালামাল কিছু অর্থের বিনিময়ে কাঁধে বহন করে পারাপারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
Leave a Reply