জিয়াবুল হক, টেকনাফ
টেকনাফ-কক্সবাজার সীবিচ সড়ক ও এর আশপাশের এলাকায় চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা, অসামাজিক কার্যকলাপসহ হরেক রকমের আইন-শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডে অশান্ত হয়ে পড়েছে শান্ত জনপদ। সীমান্ত পর্যটন ও বাণিজ্যিক উপ-শহর টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের আশপাশের এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগন এখন আতঙ্কে দিনযাপন করছে। পাশাপাশি দেশী-বিদেশী পর্যটকগণ সীবিচ এলাকা ভ্রমণ করতে ভয় পাচ্ছে বলে জানান ভ্রমণকারী পর্যটকবন্দ, ফলে দিনদিন পর্যটকদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া জেলে সম্প্রদায় তাদের একমাত্র জীবিকা নির্বাহের পথ সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে ভয় পাচ্ছে। টেকনাফ সীবিচ এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, শাহপরীরদ্বীপ হতে উখিয়া উপজেলার ইনানি পর্যন্ত সীবিচ ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের আশপাশ এলাকার গ্রামসমূহ পর্যটক, জেলে ও সাধারণ লোকজনদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় জেলে, পর্যটক ও সাধারণ জনগণ জানান দিবারাত্র সমুদ্রের সীবিচসংলগ্ন ঝাউবাগানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বস্তিতে বাসা বেঁেধছে সন্ত্রাসী, জলদস্যু, ডাকাত, ছিনতাইকারী, ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসায়ী ও সেবনকারী ও মিনি পতিতালয়। এখানে চলে হরেকরকম অসামাজিক কার্যকলাপ এলাকার যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ ও সন্ত্রাসীরা এখানে আশ্রয় নিয়ে শান্ত জনপদকে অশান্ত করে তুলেছে। ইদানিং পর্যটকদের ভরা মৌসুমে প্রতিনিয়ত পর্যটকগণ টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে সীবিচ এলাকায় গেলে মহেশখালীয়া পাড়া, তুলাতুলি, উত্তর ও দক্ষিণ লম্বরী, পর্যটন বাজার, হাবির ছড়া, মিঠাপানির ও রাজার ছড়ায় এদেরকে ডাকাতি, ছিনতাই এমনকি যুবতী মহিলাদেরকে শ্লীলতাহানী পর্যন্ত করে বসে বলে এলাকাবাসী জানান। এছাড়া টেকনাফ সী-বিচ এলাকার আল মনসুর হ্যাচারীর মালিকানাধীন প্রায় ২ একর জায়গায় রোপনকৃত ৪-৫ শ একাশি ও ঝাউগাছ ছিল, এরমধ্যে মহেশখালীয়া পাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী স্থানীয় মোজাহেরের পুত্র মোঃ সেলিম (২২), হাশিমের পুত্র মনজুর (২৪) এর নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী এসব এলাকার গাছগুলো রাতের আধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে হ্যাচারীর মালিকপক্ষ এলাকার মেম্বার ডাঃ আবদুল গণি সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ সালিশে বসলে উল্টা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এমনিক হ্যাচারীর কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে। হ্যাচারী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,উপরোক্ত সন্ত্রাসী প্রায় ৮০ গাছ কেটে নিয়ে গেছে। যে গাছগুলো সাগরের ঢেউ থেকে হ্যাচারীকে রক্ষা দেয়াল হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া ঝাউগাছগুলো পর্যটকদের আর্কষণের পাশাপাশি তীব্র গরমে ভ্রমনকারীদের ছায়া হিসেবে কাজ করে। এসব কাজে জড়িত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা না হলে উক্ত এলাকা পর্যটক শূন্য হয়ে পড়বে। তাই এলাকাবাসী এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাংসদ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।