টেকনাফে শিশু সুমাইয়াকে শ্বাস্বরুদ্ধ করে হত্যার কথা স্বীক্ষার করেছেন খুনি নুরুল¬্যা। খুন হওয়া সুমাইয়া সাবরাং মুন্ডার ডেইল এলাকার হাজী মোঃ হোছনের পুত্র বিদেশ প্রবাসী মোঃ ইদ্রিসের একমাত্রমেয়ে। সৌদি প্রবাসী ইদ্রিস প্রথম রমজানে স্ত্রী সন্তানদের সাথে রোজা ও ঈদ করতে দেশে আসেন। বিদেশ থেকে আসার সময় একমাত্র মেয়ে সুমাইয়ার জন্য এক জোড়া কানের দুল আনে। ৬ আগস্ট সোমবার বিকালে র্স্বনের দুল পড়া অবস্থায় বাড়ীর পাশে বড় মাদ্রাসার মাঠে খেলাধুলা করতে বের হলে তাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি। মেয়েকে খুজাখুজি করে না পেয়ে বিদেশ প্রবাসী ইদ্রিস ৭ আগষ্ট থানায় ২৮৪ নং নিখোঁজ ডায়রী করে। ৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ীর পূর্বপাশ্বে একটি ডোবার পানিতে সুমাইয়ার লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলেগিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল করার সময় শিশুটির দেহের সাথে বাম হাত নেই এবং কানে স্বর্ণের দুলও না থাকায় আত্মীয় স্বজনদের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পুলিশ শিশুর লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। সুমাইয়া পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ভেবে লিখিত সংবাদে টেকনাফ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করে।
এদিকে নিহত সুমাইয়ার আত্মীয়-স্বজন লাশের সাথে হাত ও কানের দূল না থাকায় এলাকায় খুজ নিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে জানাযায়, নিহত সুমাইয়া খেলা শেষ করে বাড়ি রওয়ানা করলে স্থানীয় সুলতান আহাম্মদ প্রঃ সুলের পুত্র নূরুল ইসলাম প্রঃ নূরুল¬্যা(২২) তার পিছে ছুটে যেতে। এ সংবাদে নূরুল¬্যার অবস্থান জানতে তার বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে গোপনে অনুসন্ধান চালায় এক পর্যায়ে জানতে পারে সে টেকনাফ থেকে পালিয়ে কক্সবাজার খুরুশকুল এলাকায় অবস্থান করছে। সেখানে কার বাড়ীতে থাকে তা নিশ্চিত করে আত্মীয়-স্বজনরা ১৮ আগষ্ট তাকে আটক করে টেকনাফ থানায় নিয়ে আসে। আটকের পর নূরুল ইসলাম প্রঃ নূরুল¬্যা জানায়, ৬ আগস্ট সোমবার সন্ধায় জাফর ও জসিমসহ ৩ জন সুমাইয়াকে কবর স্থানের মোড় হইতে মুখ চেপে ধরে পাশ্বে পানের বরজে নিয়ে যায়।র্স্বনের কানে দুল খোলার সময় সে চিৎকার দিলে তারা সুমাইয়াকে ্শ্বাস্বরুদ্ধ করে হত্যা করে কানের দুল নিয়ে ফেলে। রাতে পাথরের সাথে তাকে বেধে পানের বরজ সংলগ্ন ডোবাই ফেলে দেয়। যে দিন শিশুটির লাশ পাওয়া যায় সেদিন টেকনাফে র্স্বনের দুল গুলো বিক্রি করে সে কক্সবাজার খুরুশকুল চলে যায়। পরের দিন ১৯ আগষ্ট চাচা মোঃ গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে নূরুল¬াসহ ৩ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেন টেকনাফ থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) স্বপন কুমার মজুমদার। ঐ দিন রাতে অপর আসামী একই এলাকার কামাল হোসনের পুত্র জাফর আলম(২৩)কে আটক করা হয়। এদিকে পুলিশ নূরুল¬ার স্বীক্ষারোক্তীতে র্স্বনের কানের দুল গুলো উদ্ধার করেছে। পবিত্র রমজান ঈদের আগে এ অবুঝ শিশু খুনের ঘটনায় তার পরিবার ওএলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। স্থানীয় এলাকাবাসী এ অবুঝ শিশু হত্যা কারীদের
এ ব্যাপারে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার মজুমদার জানায়, ্আটক নূরুল ইসলাম প্রঃ নূরুল করেছেন। তিনি ম্যাজিট্রেটের কাছেও হত্যার দায় স্বীক্ষার করে ১৬৪ জবান বন্ধী দিয়েছেন। তবে এ মামলার অপর আসামী জাফরকেও আটক করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আসে বলে তিনি জানায়।
Leave a Reply