টেকনাফ-শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কের বেহাল দশা: বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন জনদূর্ভোগ চরমেপ্রবল বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শাপলাপুর-টেকনাফ সড়কের দরগারছড়া কবরস্থান রাস্তা-ফিলারসহ ভেঙ্গে একাকার হয়ে গেছে।
টেকনাফ থেকে শামলাপুর এলাকার ৫-৬ হাজার জনগনের যাতার মাধ্যম শামলাপুর সড়ক দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে যানচলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়লেও তা সংস্কারের ব্যাারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা না থাকায় গত ২ মাস আগের বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে এই সড়কের ৫টি অংশ সম্পুন্ন বিচ্ছিন্নসহ সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জুমপাড়া,মিঠাপানির ছড়া,রাজার ছড়া,শামলাপুর ইউনিয়নের শীলখালী,উলুবনিয়া,বাঘঘোনা নোয়াখালী,বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী,মারিচবন্যা,মাথাভাঙ্গা প্রভৃতি স্থানে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যার ফলে ওই সড়কের হাজারো জনগনের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শামলাপুর থেকে টেকনাফ সড়ক বিভিন্ন এলাকার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে ,কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে শামলাপুর, শামলাপুর থেকে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের সাথে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক পথে যাতায়াতের াপ্রধান প্রধান এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে । এছাড়াও এড়লাকার লোকজন ৫টি স্থানে গাাড়ি চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সীমাহীন দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নূর ও শামলাপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ হারুন অভিযোগ করে বলেন,সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি এবং সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন পড়ায় সরাসরি গাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান,মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। এ সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনেকবার বলা হলেও কোন কাজ হয়নি।
টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রশিদ বলেন,ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে শামলাপুর- টেকনাফ সড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্নস্থানে স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে এবং দীর্ঘদিন ধরে কাজ না করায় যাতায়াত করতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইতোমধ্যে এ ভাঙ্গা রাস্তায় দিয়ে যাতায়াত করতেগিয়ে অনেককে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে।
Leave a Reply