মমতাজুল ইসলাম মনু টেকনাফ….…টেকনাফ ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে জন ভোগান্তিসহ নানা হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে টেকনাফবাসীর। বিশেষ করে নামজারী মামলায় চরম হয়রানী হচ্ছে বলে জানা গেছে। খাজনা আদায় ও অবিকল নকল খতিয়ান (খসড়া) টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না বলেও ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। ভূমি অফিসকে ঘিরে এক শ্রেণীর দালাল চক্র অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দালালদের স্মরনাপন্ন হন বলে জানা যায়। এভাবে সাধারণ মানুষের টাকায় উপজেলার সব কটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাখপতি বনে গেছে। নিরীহ লোকজনের অভিযোগ- দালালেরা রাজনৈতিক নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের কাজ করায় ও ভূমি অফিসের পেশাগত দালালদের দেখলে তাদের কাগজ গুলো হাত থেকে আগে নিয়ে ফেলে। নিরীহ লোকজনকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় বলে কয়েকজন সংবাদকর্মীদের জানান। এভাবে টেকনাফ ভূমি অফিসকে ঘিরে অনিয়ম দুর্নীতি চললে সাধারণ লোকজন তাদের জমিনের কাজ নিয়ে কোথায় যাবে? এ অভিযোগ সরকারের প্রতি। তারা আরো জানান- ভূমি অফিসের কর্তব্যরত কিছু বহিরাগত দেখা যায়। তাদের কারণে দালাল উৎপাত বেশী হচ্ছে বলে জানা যায়। কিছু নামজারী খতিয়ান ও খাজনা দিতে গেলে আগে দালালদের কবলে পড়তে হয়। যারা প্রকৃত দালাল তারাও ভূমি অফিসে কাজ করতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন লোক জানান- তিনি খাজনা দিতে গিয়ে একজন দালালের কবলে পড়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এক মাসের মধ্যে কাজ করে দেবে জানান। একমাস পরে সে দালালের সাথে দেখা করলে সে দালাল জানান- আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। এভাবে সাধারণ মানুষকে টকানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছে। মুখ খোলে কথা বলতে পারছেন না। গত কয়েক দিনে আগে ভূমি অফিসের এক কর্মচারী একটি লোককে গায়ের শার্টের টানাটানি করে এবং ধাক্কা ধাক্কি করে। পাশে থাকা লোকজন বলাবলি করছেন- এভাবে একজন ভূমি অফিসের কর্মচারী টাকার জন্য বেপরোয়া হয়ে গেছে। আবার লোকটা টাকা নিয়ে বাহিরে চলে গেলে এক সংবাদকর্মীকে বলেন আমাকে টাকার জন্য লাঞ্চিত করেছে, এ বিচার মহান আল্লাহকে দিলাম। ফলে এ সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন না কর্তৃপক্ষ। অনেকটা বুকে সাহস নিয়ে কাজ করেন, দুর্নীতি করেন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ###
Leave a Reply