মোজাম্মেল হক বাহার, শামলাপুর,….দালালদের খপ্পরে পড়ে টেকনাফ বাহারছড়া, হোয়াইক্যং থেকে প্রতিনিয়ত চোরাই পথে মালেশিয়া যেতে গিয়ে সমুদ্র গর্ভে বিলীন হচ্ছে হাজারো তাজা প্রাণ। যার ফলে সন্তান হারা হচ্ছে হাজারো বাবা-মা, স্বামী হারা হচ্ছে নব বধু থেকে শুরু করে অনেক স্ত্রী। পাশাপাশি মালেশিয়া যাওয়ার তাগিদে টাকা জোগাড় করতে গিয়ে ভিটে-বাড়ী সহ সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে পথের ফকির হয়েছে এমন নজিরও অহরহ। ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা অগনিত মালেশিয়া পাচারকারীরা এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে মিষ্টি কথার ফাঁদে জড়িয়ে, অল্প টাকায় আকাশ চুম্বি সপ্ন দেখিয়ে, নিরাপদ পথের দিশা দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা গুলো ছিনিয়ে নিয়ে বলে এবার স্েপ্নর পথে পাড়ি জমাও। এরকম গেল রমজানের ৬/৭দিন পূর্বে টেকনাফ বাহারছড়া, হোয়াইক্যং থেকে ১৯০জন ও গত ৪ সেপ্টেম্বর ২২০জন যাত্রী নিয়ে টেকনাফের বড় ডেইল ও বিভিন্ন এলাকা থেকে ২টি বোট মালেশিয়া পাড়ি দিয়েছে বলে জানা যায়। এ পর্যন্ত যাত্রী হয়ে যারা গিয়েছে তাদের কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
হোয়াইক্যং লাথুরি খোলার অতি দরিদ্র পরিবারের মৃত বনী আমিনের পুত্র রহমত উল্লাহ, বাদশাহ মিয়ার পূত্র কালা বদা, উপজাতি চানু অং এর পূত্র লাতুইজ্জা চাকমা নামক ৩ ব্যক্তি মালেশিয়া যাওয়ার জন্য উক্ত বোটে যাত্রী হয়ে উঠেছিল এ পর্যন্ত তাদের খবরও পাওয়া যায়নি বলে যানায় তাদের পরিবার বর্গ। দলালদের যারা অগ্রণী ভুমিকা পালন করছে তারা হল; টেকনাফ শামলাপরে অবস্থানরত মায়ানমার নাগরিক লেড়– মাঝি, কানা আলম মাঝি, কান ঢুলাইন্না মাঝি,ছলিম উল্লাহ মাঝি আর হোয়াইক্যং থেকে স্থানীয় মৃত কবিরের পুত্র দালাল শামশু (প্রকাশ জাইল্লা শামশু) ও মায়ানমার নাগরিক মৌঃ ইয়াহিয়া। উক্ত দালালদের মধ্য থেকে গড ফাদার লেড়– মাঝি ও ইয়াহিয়াকে রিমান্ড করলে সমস্ত তথ্য বের হবে বলে জানান এলাকাবাসী। প্রশাসন জেনে শুনেও না জানার ভান করে কেন এই অসাধু দালাল সিন্ডিকেটদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা তাদের কাছে একই প্রশ্ন এলাকার সচেতন জনমহলের।
Leave a Reply