রমজান উদ্দীন পটল ……সাগর পথে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে স্বপ্নের মালয়েশিয়া কিছুতেই থামছেনা। বর্ষা মৌসুম সাগর উত্তাল তারপরও ছোট কাঠের ট্রলার যোগে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে সাগরে দুর্ঘটনায় টেকনাফ উখিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক লোকজনের সলিল সমাধির আশংকা করা হচ্ছে। ৪০ দিন ধরে নিখোঁজ এসব লোকজনের হদিস না পাওয়ায় এলাকায় স্বজনদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শোকের মাতম। কান্নার রুল উঠেছে হতভাগ্যদের ঘরে ঘরে। এ অবস্থাতে প্রতিকুল আবহাওয়ায় জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে গত ১৫ জুলাই রাতে টেকনাফের উপকূল দিয়ে আরো প্রায় ৭০ ব্যাক্তি ট্রলারে করে মালয়েশিয়া অভিমুখে রওয়ানা করেছে বলে জানাগেছে। এ দলের মধ্যে টেকনাফের হোয়াইক্যং, উনচিপ্রাং, লম্বাবিল, রইক্যং এলাকার ২০ জন স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছে। শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মুঠো ফোনে জানান- রোববার রাতে সাবরাং নয়াপাড়া সমুদ্র চর দিয়ে লোকজন মালয়েশিয়া যাত্রার কথা শুনেছি। খবর পেয়ে রাতে উক্ত এলাকায় অভিযানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যাইনি।বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়- বর্ষায় প্রতিকুল অবস্থাতেও টেকনাফে আদম পাচারকারী চক্র সমুদ্র পথে বিভিন্ন দরিদ্র লোকজনকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায় করছে। বানিজ্য জাহাজে করে নিরাপদে মালয়েশিয়া পৌছানোর কথা বলে প্রায় দেড় শতাধিক লোকজনের কাছ থেকে জনপ্রতি ৭০/৮০ হাজার টাকা করে আদায় করে এবং গত ৮ জুন টেকনাফের সাবরাং উপকুলীয় এলাকা দিয়ে একটি ট্রলারে করে ১২০ জন আদম ভর্তি করে মালয়েশিয়ার উদ্দোশ্যে রওয়ানা দেয়। ট্রলারটি থাইল্যান্ড উপকূলীয় সমুদ্র এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মালয়েশিয়াগামী যাত্রীদের সলিল সমাধি হয় এমন আশংকা করছেন স্বজনদের অনেকে। মালয়েশিয়ার উদ্দোশ্যে রওয়ানাদেয়া তাদের আতœীয় স্বজনের সাথে কথা বলে জানা যায়- শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রি পাড়া মৌ.কলিম উল্লাহ টেকনাফে আদম পাচারকারী চক্রের সাথে হাত করে লোক কলেক্সন করে এবং থাইল্যন্ড থেকে মোটা টাকার কন্ট্রাকে উদ্ধার করে মালয়েশিয়া নিয়ে ভাল বেতনে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায় করছে। তাদের উদ্ধারে উক্ত কলিম উল্লাহ এপর্যন্ত কয়েক বার থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ঘুরে আসেন কিন্তু এখনো তাদের খোজ দিতে নাপেরে তিনি এলাকা ছাড়া হয়ে চিটাগাং আতœঘোপনে রয়েছেন। তারা দালাল কলিম উল্লাহকে ধরে এন কলিজার সন্তানের শেষ খবর জানার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উক্ত ট্রলারে করে হোয়াইক্যংয়ের কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের পুত্র আবছার, ধলা মিয়ার পুত্র সরওয়ার, আব্দু শুক্কুরের পুত্র হারুন, সফু মিয়ার পুত্র আজিজুল হক, আবু তালেকের পুত্র মোঃ রফিক, কবির আহমদের পুত্র আনিসুর রহমান, নুরুল আলমের পুত্র সোনা মিয়া, নুর আহমদের পুত্র জসিম, উনচি প্রাং এলাকার অমির হামজার পুত্র আব্দু করিম, আব্দুর রহমানের পুত্র শাহ আলম, রইক্ষং এলাকার কালু মিয়ার পুত্র আবু ছিদ্দিক, উখিযার পালংখালী এলাকার মোহাম্মদের পুত্র নুরুল কবির, লেদা রোহিঙ্গা বস্তি এলাকার রহমত উল¬াহ, নজির আহমদসহ বিভিন্ন স্থাণীয় লোকজন রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে এসব লোকজনের অভিভাবকদের সাথে আলাপকালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকে। এসব লোকজনের হদিস না থাকায় হতভাগ্যদের বাড়ীতে মা বাবা, ভাই বোনসহ স্বজনদের মধ্যে দেখা দিয়েছে কান্নার বিলাপ। ####
Leave a Reply