আলোচনা সভা ও র্যালির মধ্য দিয়ে মাগুরায় বুধবার দুপুরে মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা, জঙ্গিবাদটেকনাফ থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের পর উখিয়ায় খুন ও সন্ত্রাস প্রতিএম বশর চৌধুরী উখিয়া (কক্সবাজার):
টেকনাফ থেকে অপহরণ হওয়া সামুন নাহার (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের পর গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে উখিয়ায় খুন করেছে র্দূবৃত্তরা। নিহত স্কুল ছাত্রী টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী ও খোনকার পাড়া গ্রামের আব্দুস ছালামের কন্যা। এ ঘটনায় উখিয়া থানায় হত্যা মামলা রুজু হলে পুলিশ ঘাতক মোঃ ইউনুছ (২৪) কে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, উখিয়ার ভালুকিয়া ফৈজার বাপের পাড়া গ্রামের সোনা আলীর ছেলে মোঃ ইউনুছ (২৪) চট্টগ্রাম শহরে অবস্থানরত তার ভাই বাবুলের সহযোগীতায় ২০১২ সালের ১০ জুলাই স্কুল ছাত্রী সামুন নাহার কে টেকনাফ থেকে অপহরণ করে উখিয়ার ভালুকিয়া ফৈজার বাপের পাড়া এলাকায় এনে আটক করে র্দীঘ দিন ধরে ধর্ষন করে। স্কুল ছাত্রীর পিতা আব্দুস ছালাম জানান, র্দৃবৃত্তরা তার মেয়েকে অপহরনের পর আটক করে ধর্ষন করে এবং বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত করার চেষ্টা করে। এতে রাজী না হওয়ায় গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সকাল ৬টায় মারধর পূর্বক শ্বাসরোধ করে স্কুল ছাত্রীকে হত্যা করে। স্কুল ছাত্রীর মাতা আনোয়ারা বেগম জানান, তার ৪ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে সামুন নাহার ২য় মেয়ে। তিনি জঘন্যতম এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করেন। অভিযোগ উঠেছে, স্কুল ছাত্রী সামুন নাহার কে ধর্ষনের পর খুন করা হলেও পুলিশ ধর্ষন ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে হত্যা মামলা রুজু করে।
এদিকে টেকনাফ থেকে হাফেজ মোহাম্মদ কাশেম জানান, নিহত স্কুল ছাত্রী সামুন নাহারের মৃত দেহ ময়না তদন্ত শেষে টেকনাফের খোনকার পাড়া এলাকার গ্রামের বাড়ীতে পৌছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আত্মীয় স্বজন ও সহপার্টিরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।রোধে ওলামা মাশায়েখ সমাবেশ ও ইমাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাগুরা সদর উপজেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সকাল ১১টায় ইসটেকনাফ প্রতিনিধি॥
টেকনাফ স্থল বন্দরের বিগত ফেব্রুয়ারী মাসের রাজস্ব ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার আগেই হরতালের কারণে পূনরায় ধ্বস নামতে শুরুকরেছে রাজস্ব।এ বন্দর দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার পন্য আমদানী ও রপ্তাণী হয়ে থাকলে ও হরতালের কারণে তা থমকে দেখে। যার কারণে নষ্ট ও পঁেচ যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার আমদানী করা কাঁচা পন্য।
তথ্যনুসন্ধানে ও স্থল বন্দর ঘুরে দেখা যায়,পন্য ভর্তি ট্রাক স্থল বন্দরের অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং কার্গো থেকে পন্য খালাস হচ্ছে। গাড়ি চলাচল করতে না পারায় স্থল বন্দরেও তার প্রভাব পড়েছে। মিয়ানমার থেকে আমদানি হওয়া কোটি কোটি টাকার পন্য হরতালের কারণে পচঁন ও নষ্ট হয়ে পড়েছে। যা নির্ধারিত সময়ে গন্তব্য পৌছাতে না পারায় এ অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্যের কাঁচা মালামাল ও তরতাজা পন্য মিয়ানমার থেকে আমদানী করা হয়েছে । তা সম্পূর্ণ খালাসের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সেগুলো মধ্যে তেতুঁল,বরই,আচার, মাছ, শুটকী আদা, মসল্লা জাতীয় পন্য অন্যতম। অবশ্য এর আগে পিয়াজ ও রসুন ,চনা,চাউল আমদানী হয়েছিল। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে কচু, আলু , পিয়াজ, রসুন ও বলপেনও রপ্তাণী হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে আমদানী কারক ও সিএন্ড এফ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, আমাদের একটি কার্গো মাছ নিয়ে মিয়ানমার থেকে টেকনাফে বন্দরে আসলে তা খালাস করলে ঢাকা নিয়ে যেতে না পারায় বর্তমানে তা পচঁন ধরে লোকসান গুণতে হচ্ছে।
শ্রমিকদের মাঝি আনু মিয়া সাথে কথা হলে সে জানায়, মিয়ানমার থেকে যে সব পন্য আনা হয়েছে তা খালাস করে বন্দরে গোদামজাত করা হচ্ছে। কয়েকটি ট্রাকেও পন্য ভর্তি করা হয়েছে। হরতালের কারণে ট্রাক যাচ্ছে না।
ট্রাক ড্রাইভার আবদুল আমিন জানান, ট্রাকে পন্য ভর্তি করা হয়েছে, হরতালের কারণে সড়কে ব্যারিকেড ও গাড়ী ভাংচুর করার ভয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমস আমদানী রাজস্ব আয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও রপ্তাণী বাণিজ্যে চমক সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন । রপ্তাণী পণ্যের তালিকায় প্রতি মাসেই যুক্ত হচ্ছে নতুন আইটেমের পণ্য।
টেকনাফ স্থল বন্দরে রপ্তাণী বাণিজ্যে লক্ষ্যমাত্রা না থাকলেও বাংলাদেশে উৎপাদিত নতুন নতুন পণ্য রপ্তাণী হয়ে টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রপ্তানীর পরিধিকে ক্রমে বৃদ্ধি করছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতমাসে টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে ১৮ প্রকারের দেশীয় পণ্য মিয়ানমারে রপ্তানী হয়েছে । টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় টেকনাফ বন্দর দিয়ে ৬৫ টি চালানে ১ কোটি ৯৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৬৮ টাকা মুল্যের বাংলাদেশী পণ্য মিয়ানমারে রপ্তাণী হয়েছে । যা অতীতের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে ।
তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়- ডিসেম্বর মাসে ১টি চালানে ২হাজার ৭শত ৫০পিস টাওয়াল, ৪টি চালানে ৩২হাজার ৮শত ৪৬ জোড়া জুতা-সেন্ডেল, ১২টি চালানে ১২হাজার ৭৯৯ মেট্রিক টন মানুষের চুল, ৭টি চালানে ৫শত ৮০ মেট্রিক টন সিমেন্ট, ১০টি চালানে ১১ লাখ ২ হাজার ৩১০ পিস বাংলাদেশী গেঞ্জি, ৪টি চালানে ২০ হাজার ৫শত ৭২ মেট্রিক টন বাংলাদেশী গেঞ্জির কাপড়, ৩টি চালানে ২হাজার ৪০৫ মেট্রিক টন গাজী প্লাষ্টিক ট্যাংক, ৮টি চালানে ১১.৯ মেট্রিক টন এ্যালুমুনিয়াম প্রোডাক্ট, ৬টি চালানে ৭হাজার ৬শত ২১ মেট্রিক টন হাঙ্গরমাছ ও মাছের চামড়া, ২টি চালানে ৩ হাজার১শত ২৪ মেট্রিক টন পাইস্যা মাছ, ১টি চালানে ১.৫ মেট্রিক টন কচুরছড়া, ১টি চালানে ১২ হাজার ১৫৬ মিনি কার্টন ঔষধ, ১টি চালানে ৪পিস চারকল মেশিন, ১টি চালানে ৮শত ৪০ ডজন ফেয়ার এন্ড লাভলী, ১টি চালানে ১শত ৯৪ পিস বলপেন, ০.২৪৫ মেট্রিক টন মেডিপ্লাস টুথপেষ্ট, ১টি চালানে ২হাজার ৮শত ৫০ মেট্রিক টন টিউবওয়েল, ২টি চালানে ৬হাজার ৫শত ২০ মেট্রিক টন প্লাষ্টিক প্রোডাক্টস টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে মিয়ানমারে রপ্তানী হয়েছে । এভাবে প্রত্যেক মাসেই নতুন নতুন আইটেমের পণ্য রপ্তাণী বাণিজ্যের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে । টেকনাফ স্থল বন্দরে নিয়োজিত কাস্টমস্ ও বন্দরের কর্মকর্তা গন আমদানী-রপ্তাণী বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে ।লামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে সংস্থার উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শরিফুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম শহিদুল ইসলাম রেন্টু, বিদ্যুৎ অফিস মসজিদের ইমাম মওলানা ইসহাক হোসেন, ইমাম সমিতির সভাপতি মওলানা আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
সম্মেলনে সদর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের শতাধিক ইমাম অংশগ্রহণ করেন। পরে এ উপলক্ষে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।