জেড করিম জিয়া, টেকনাফ…টেকনাফ থানায় পুলিশের হাতে বিভিন্ন সময় জব্দকৃত ফিশিং ট্রলার, স্পিডবোট, ল্যাপটপ চাল ও বিস্কুট পানির দামে নিলাম দেওয়া হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১১ ফেব্র“য়ারী সোমবার বেলা ১১ টার সময় টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে বিভিন্ন সময় জব্দ ১টি ৪৫ অশ্ব বিশিষ্ট ইঞ্জিন, একটি ষ্টিলের মেইক সাথে পিতলের ৩ ডানা বিশিষ্ট একটি পাখাসহ ফিশিং ট্রলার, ১টি ইঞ্জিনসহ স্পিডবোড, ২টি ল্যাপটপ, ২০ কেজি ওজনের ৪০০ বস্তা চাল, ৩০ কার্টন বিস্কিুট মাত্র ৮৯ হাজার টাকায় নিলাম দেওয়া হয়েছে। টেকনাফ থানায় জিডি নং ৭১১ তারিখ ১৭/০৯/১২ ইং বিবিধ নং ২১/১২ মূলে জব্দকৃত ২০ কেজি ওজনের ৪০০ বস্তায় ৮ হাজার কেজি চাল ৩০ টাকা হারে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সিজার লিষ্টে জমা দেওয়া হলেও নিলাম বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬ টাকা দামে ৪৮ হাজার টাকায়, ৩০ কার্টন প্রাণ টোস্ট বিস্কুট ২ হাজার ৫শ টাকায়, ১৩৩৫ জিডি মূল্যে তারিখ ২৮/৯/১২ ইং বিবিধ নং ২২/১২ জব্দকৃত ১টি ৪৫ অশ্ব বিশিষ্ট ইঞ্জিন, একটি ষ্টিলের মেইক সাথে পিতলের ৩ ডানা বিশিষ্ট একটি পাখাসহ ফিশিং ট্রলার মাত্র ১০ হাজার টাকায় নিলাম দেওয়া হয়েছে, জিডি নং ৬৭৭ তারিখ ১৬/০৭/১২ বিবিধ নং ১৯/১২ মূলে জব্দকৃত ১টি ইমাহা ইঞ্জিনসহ স্পিডবোড ২০ হাজার টাকা ও ২টি ল্যাপটপ ৮ হাজার ৫’শ টাকায় নিলাম দেওয়া হয়েছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এঘটনায় টেকনাফে সর্বত্র চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, একটি সিন্ডিকেট আগে ভাগেই সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে নিলামকৃত মালামালগুলো পানির দামে হাতিয়ে নিয়েছে।
টেকনাফ থানা মালখানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই রাজিব বড়–য়া কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে মালামাল নিলামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালামালের গুনগত মান নষ্ট হওয়ায় সর্বোচ্চ নিলাম ডাককারীকে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১০ হাজার টাকায় নিলাম দেওয়া ১টি ৪৫ অশ্ব বিশিষ্ট ইঞ্জিন, একটি ষ্টিলের মেইক সাথে পিতলের ৩ ডানা বিশিষ্ট একটি পাখাসহ ফিশিং ট্রলারটি সে দেখেনি।