টেকনাফ প্রতিনিধি…দীর্ঘ দিন পর টেকনাফ মডেল থানার বির্তকিত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুল হক মহেশখালী থানায় বদলি করা হয়েছে। সে টেকনাফ থানায় যোগদান করার পর থেকে ইয়াবা আটক করে মামলায় কম দেখানো সহ নানান অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১১ মে টেকনাফ মডেল থানায় যোগদান করার পর থেকে ওসি মাহাবুবুল হকের নির্দেশে কর্তব্যরত কর্মকর্তারা ইয়াবা উদ্ধার করতে গিয়ে বড় বড় চালানগুলো আটক করে মামলায় নামে মাত্র ইয়াবার পরিমাণ কম দেখানো, ইয়াবার মূল আসামীকে টাকার বিনিময়ে প্রধান আসামী না করাসহ নানান অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘঠিত করার অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়হাবিরপাড়ার আবদুল নর্বীর পুত্র সোনা আলীর বাড়িতে ওসির নির্দেশে এস আই বিল্লাল হোসেন অভিযান চালিয়ে ৬৪ হাজার ইয়াবাসহ তাকে আটক করলে মামলায় দেখানো হয়েছে ২ হাজার পিচ ইয়াবা। ঐসময় পুলিশ ইয়াবার পরিমাণ নিয়ে গড়িমসি করলে তাৎক্ষনিক জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। এব্যাপারে ২২ মার্চ কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় ৬২ হাজার ইয়াবা গেল কয় শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হলে এসআই বিল্লাল হোসেনকে লক্ষীপুরে বদলি করা হয়। গত ৯ আগস্ট রাতে ওসি মাহবুবুল হকের নির্দেশে এসআই হারুন রশিদ ও এএসআই হান্নান টেকনাফ কলেজ গেইটের জনৈক আলমগীরের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ইয়াবাসহ ৫ জনকে আটক করলেও মোটার অংকের টাকার বিনিময়ে রাতের আধারে ২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মামলায় ইয়াবার পরিমাণ দেখনো হয় ২ হাজার এবং মূল আসামীকে ২ নং আসামী দেখানো হয়। গত ২৩ আগস্ট রাতে পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকায় মৃত সোনা আলীর বাসায় এসআই রাজু আহমদ অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ৫জনকে আটক করলেও মামলায় দেখনো হয়েছে ৪ হাজার ৫’শ এবং মামলায় মূল আসামীকে ৫ নং আসামী করা হয়। এছাড়া গত ৩০ আগস্ট টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এরশাদ উল্লাহ ৬’শ পিচ ইয়াবাসহ মোটর সাইকেল আরোহী কবির আহমদ ও মোঃ কালু নামে ব্যক্তিকে আটক করে। এসময় মোটা অংকের বিনিময়ে কবির আহমদকে মোটর সাইকেলসহ ছেড়ে দেয়। মোঃ কালুকে আসামী দেখিয়ে মামলায় ৪ পিচ ইয়াবা জব্দ দেখায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে ২’শ পিচ ইয়াবা সোর্সকে উপঢৌকন দিয়েছে বলে জানায়। এনিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে টেকনাফ থানায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়া গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে থানা পুলিশের এএসআই জাফর আলম পৌরএলাকার নাইট্যংপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ইয়াবা, চালকসহ সিএনজি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে এবং মামলায় ইয়াবার পরিমাণ দেখানো হয় ১ হাজার। ৪ হাজার ইয়াবা উদাওর ঘটনা নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে রামু গর্জনিয়ায় বদলি করা হলেও নির্দেশ কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে থেকে যায়। একাধিক ইয়াবা জব্দের ঘটনায় টেকনাফ থানার ভূমিকা নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অবশেষে বিতর্কিত ওসি মাহবুবুল হকের বদলি খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মাঝে স্বস্থি ফিরে আসে।
#####
##########
Leave a Reply