হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ/গর্ভবতী একজন মহিলার মৃত্যু নিয়ে টেকনাফ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে তোলপাড় চলছে। টেকনাফ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার শ্র“তি পূর্ণ চাকমা, সদরের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা(এফডব্লিউভি) মনোয়ারা বেগম মুন্নী ও অফিস স্টাফ ফারুক হোসেন এই ৩জনের একটি টিম সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। টেকনাফ উপজেলা পরিবার পরিকল্পণা অফিসার শ্র“তি পূর্ণ চাকমা এবং উক্ত এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠকর্মী সাবেকুন্নাহার বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী গ্রামের কৃষক শাহাব মিয়ার স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা খদিজা বেগম (২৪) গত ১৫ জানুয়ারী টেকনাফ হাসপাতাল থেকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গিয়েছিলেন। ৯ মাসের গর্ভবতী খদিজা বেগম ‘মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কীম(ডিএসএফ)’ এর আওতাভূক্ত ছিলেন। তাঁর রেজিষ্ট্রেশন নং-১২৯৮৩, তারিখ ২/৭/২০১২ইং। মাঠকর্মী সাবেকুন্নাহার জানান- খদিজা বেগম ৯ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। সে যথা নিয়মে ২ জুলাই ১ম, ৫ সেপ্টেম্বর ২য় ও ১৫ ডিসেম্বর ৩য় চেকআপ সম্পন্ন করেছেন। ১৪ জানুয়ারী প্রসব বেদনা শুরু হলে নিজ বাড়ীতে স্থানীয় ধাত্রী দ্বারা প্রসব করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে তার পরামর্শে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারহানা নাজনীন ১৪ জানুয়ারী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার শ্র“তি পূর্ণ চাকমা বলেন- চরম প্রসব বেদনা নিয়ে খদিজা বেগম না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন। কোন অবস্থাতেই তাঁকে ফেরানো সম্ভব নয়। কিন্তু এঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কি কারণে বা কার গাফেলতিতে এঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান- মাঠকর্মীদের মাসিক প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানার পর পরই গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।##########