হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ………..মিয়ানমারে পাচারের অভিযোগ ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় টেকনাফে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ৪শ’ ৮০ বস্তা চাল ও ময়দা জব্দ করেছে বিজিবি। জব্দকৃতদের মধ্যে ৪’শ ৫৭ বস্তা চাল ও ২৩ বস্তা ময়দা বলে জানা গেছে। জানা যায়- সোমবার সন্ধ্যার দিকে টেকনাফ ৪২ ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র অপারেশন অফিসার এইচ কামরুল হাসানের নেতৃত্বে বিজিবি জওয়ানরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হ্নীলার মোচনী এলাকার কবির আহমদের পুত্র সোলতান আহমদের মুদির দোকানের গোডাউন থেকে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৪শ’ ৮০ বস্তা চাল ও ময়দা জব্দ করে। দোকানী সোলতান জানান- তিনি স্থানীয় ইউপি’র ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় মুদির দোকানের সাথে চাল ও ময়দা বিক্রি করে আসছেন। বিজিবি দাবী করছে ট্রেড লাইসেন্সে মুদির দোকানের সাথে চাল ব্যবসার অনুমোদন থাকলেও গোডাউনের কোন অনুমোদন নেই। তদুপরি ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এছাড়া ওই গোডাউন থেকে মিয়ানমারে চাল পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগও রয়েছে। টেকনাফ ৪২ ব্যাটালিয়ান বিজিবি’র কামান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল জাহিদ হাসান জানান- গত রবিবার রাতে ওই গোডাউন থেকে মিয়াানমারে ১০ বস্তা চাল পাচারের সুত্র ধরেই এ অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দকৃত চাল ও ময়দা টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজিবি সুত্রে জানা গেছে। এদিকে সাধারন গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেছেন, সীমান্তে বিজিবি চোরাচালান রোধে তৎপর না হয়ে পরিবারের জন্য ১/২ বস্তা চাল ক্রয় করে গাড়ীযোগে আনার সময় প্রধান সড়কে গাড়ী থামিয়ে মিয়ানমারে পাচারের অভিযোগে চালের বস্তা জব্দ করছে। প্রতিবাদ করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়না। এভাবে প্রধান সড়ক হতে মালামাল জব্দ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
Leave a Reply