হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ মাত্র ৪ আনা স্বর্ণের জন্য এক শিশুকে নির্মমভাবে খুন করে কুয়ায় ফেলে দিয়েছে অজ্ঞাত দুবৃত্তরা। টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল গ্রামে ঘটেছে অত্যন্তমর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক ঘটনা। গতকাল বৃহস্পতিবার ৯ আগষ্ট দুপুরে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ কুয়া থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়- সাবরাং মুন্ডারডেইল গ্রামের মোঃ ইদ্রিসের শিশু কন্যা সুমাইয়া আক্তার (৪) গত ৫ আগষ্ট বিকালে বাড়ীর পাশ্ববর্তী স্কুল মাঠে খেলা করেছিল। সন্ধায় ফিরে না আসায় ইফতারের পর থেকে আশ-পাশে, আতœীয়-স্বজনের বাড়ীতে, ছড়া, নালা-নর্দমা, পুকুর-কূয়ায় তালাশ এবং খোঁজাখুজি করার পর না পেয়ে পরদিন ৬ আগষ্ট মাইকিং করা ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। অতি আদরের ৪ বছরের শিশু জন্যাকে হারিয়ে মা-বাবা, আতœীয়-স্বজন সকলে পাগল প্রায়। এদিকে গতকাল ৯ আগষ্ট সকালে নিজের পান বরজের কুয়ায় সুমাইয়া আক্তারের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। একটি হাতে কাটা দাগ রয়েছে। অথচ এই কুয়াসহ আশে-পাশে রাত-দিনে কয়েকবার তল্লাশী অব্যাহত ছিল। কিন্তু ৩ দিন ধরে পাওয়া যায়নি। নিহতের পারিবারিক সূত্র দাবী করেছে- সুমাইয়া আক্তারের ২ কানে স্বর্ণের তৈরী ৪ আনা ওজনের দুল ছিল। লাশ পাওয়া গেলেও স্বর্ণের দুল পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে- দুবৃত্তরা স্বর্ণের লোভে পড়ে দুল দু’টি ছিনিয়ে নিয়েছে। এরপর দুবৃত্তের পরিচয় প্রকাশ হওয়ার আশংকায় নির্মমভাবে শিশুটিকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিল। কিন্তু ব্যাপকভাবে খোঁজাখুজি শুরু হলে দুবৃত্তরা উপায় না দেখে গলিত শিশু লাশ তাদেরই কুয়ায় ফেলে দিয়েছে। দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরাতে বা শিশুটি খেলতে গিয়ে সবার অলক্ষ্যে নিজের কুয়ায় পড়ে মারা গিয়েছে- এভাে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। খেলতে গিয়ে কুয়ায় পড়ে মারা গেলে তো ঘটনার রাতেই লাশ পাবার এবং কানে স্বর্ণের দুল থাকার কথা। ##
Leave a Reply