হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম,টেকনাফ
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবিবপাড়া মৃত অলি আহমদের পুত্র মোঃ ইলিয়াছ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত নয় বলে দাবী করেছেন। ৪মে দুপুরে নিজ বাসভবনে উপস্থিত মিডিয়াকর্মীদের নিকট তিনি এই দাবী করেন। আগের দিন ৩ মে বিজিবি কর্তৃক ৬ হাজার ৪৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার ঘটনায় মোঃ ইলিয়াছকে পলাতক আসামী করেছিল। বিষয়টি মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার পর মোঃ ইলিয়াছ তার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন। মোঃ ইলিয়াছ দাবী করেন- বিগত ইউপি নির্বাচনের সময় একজন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট হিসাবে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করার পর থেকে একটি মহল তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা মামলা এবং অভিযোগ হয়েছে। তিনি বলেন- ইয়াবা ব্যবসার সাথে আমি কোন কালেই জড়িত ছিলামনা এবং এখনও নেই। আমি বাঁশ ব্যবসা ও চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। ইয়াবাকে মনে প্রাণে ঘৃনা করেন উল্লেখ করে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে দাবী করেন- টেকনাফে বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে। টেকনাফস্থ ৪২ বিজিবির অধিনায়কের সদয় দৃষ্টি আর্কষণ পূর্বক দলমত নির্বিশেষে সর্বমহলের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করে দোষী প্রমানিত হলে যে কোন শাস্তি মাথা পেতে গ্রহণ করবেন বলে জানান। সাবেক এই ছাত্রনেতা মোঃ ইলিয়াছ অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত ও আক্ষেপ করে বলেন- ব্যবসা ও চাষাবাদ করে সমাজ এবং জনসেবা মূলক কর্মকান্ডের সাথে নিজকে জড়িত রেখে নিরীহভাবে জীবনযাপন করলেও মহল বিশেষ অসৎ উদ্দেশ্যে হয়রানী করতে প্রভাবিত করে এভাবে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। আলোচিত মামলা তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। তিনি এব্যাপারে টেকনাফস্থ ৪২ বিজিবির কমান্ডিং অফিসারের সদয় দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, টেকনাফ উপজেলা আইন শৃংখলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির সভায় পলাতক আসামী করা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা এবং এব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা মানা হচ্ছেনা।####