মুহাম্মদ ছলাহ্ উদ্দিন, টেকনাফ ॥ হ্নীলায় রোহিঙ্গাদের নির্মমতার বলি শিশু আজিজ সিকান্দর সোহাগ (১৩) হত্যা তদন্ত স্থবির হয়ে পড়েছে। আসামীরা রোহিঙ্গা হেতু তাদের প্রভাবশালী আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের ‘কাঁচা টাকার’ কারণে আইনী প্রক্রিয়া চালাতে বাদীনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। একই কারণে হত্যা তদন্তে পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এ মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তেরও দাবী উঠেছে। পুলিশ, বাদীপক্ষ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এবং সরেজমিনে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত দু’মাস আগে ২০ সেপ্টেম্বর রাতে হ্নীলা পুরাতন বাজার পাড়া এলাকাস্থ নিজ বাড়ীর পার্শ্ববর্তী বিয়ে বাড়ীতে গিয়ে ৫ম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্র সোহাগ আর ফিরে আসেনি। পরদিন সকালে বাড়ী থেকে আধ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে নির্জন লবণমাঠে তার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী শরীরে ইনজেকশন সিরিঞ্জের মাধ্যমে বিষয় প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন সোহাগের ময়না তদন্তসহ দাফন-কাফন শেষে সোহাগের মা বাদী হয়ে থানা মামলা রুজু করে। বাদীনির দাবী, স্থানীয় প্রভাবশালী ডা. ইউছুফ আলী ভূঁইয়ার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তাঁর বাড়ীতে বসবাস করা সাইফুল ইসলাম সাবুক নামের এক রোহিঙ্গা তরুণের সাথে জনৈকা তরুণীর অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় ওই তরুণসহ একই বাসায় বসবাস করা আরেক রোহিঙ্গা মোঃ আবদুল্লাহ এবং আত্মীয়তার সুবাধে এলাকায় বসবাস করা নূর হামিদসহ আরো কয়েকজন মিয়ানমার নাগরিক মিলে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। বিগত দু’মাসে পুলিশ এক পক্ষকালের ব্যবধানে রোহিঙ্গা আবদুল্লাহ ও সাবুককে আটক করে হাজতে পাঠানো ছাড়া উল্লেখযোগ্য আর কিছুই করেনি। উপরন্তু আইও বদলী, থানা আক্রমণ ও সংখ্যালঘু পল্লীতে সহিংসতা ঘটনা নিয়ে ‘ব্যস্ততার’ দোহাই দিয়ে পুলিশ সময়ক্ষেপন করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর মতে, আসামীরা রোহিঙ্গা হেতু তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ আচরণ করছেন। তাদের ‘কাঁচা টাকার’ কারণে আইনী প্রক্রিয়া চালাতে বাদীনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসী মনে করেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে হত্যা রহস্য বেরিয়ে আসবে। ######################## মুহাম্মদ ছলাহ্ উদ্দিন, টেকনাফ ॥ মোবাইল নং-০১৮২৪-৮৭৯৩৫১
Leave a Reply