মমতাজুল ইসলাম মনু টেকনাফ: রমজানের শুরু থেকেই টেকনাফের কাঁচা-সবজির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে চরম ভাবে। কোন ভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ কাজে আসছে না। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালত বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও ভেজাল ঠেকাতে অভিযান পরিচালনা করলেও ব্যবসায়ীরা জরিমানার তোয়াক্কা না করে নিজ গতিতেই চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে জিম্মি রাখছেন বলে মনে করছেন সাধারন ভুক্তভোগীরা। সুষ্ঠ বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বাজার স্থির হয়ে উঠবে বলেও ধারনা তাদের। রমজানের আগে থেকে হঠাৎ করে অস্থির হয়ে উঠে টেকনাফের সকল সবজির বাজার। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে এক থেকে তিন দফা সব ধরণের সবজি ও শাকের দাম বেড়েছে বলে বাজার ঘুরে ক্রেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে। সবজির পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও লাগামহীন দাম বাড়ার বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে ধারণা করছেন ক্রেতা সাধারণ। তাছাড়া বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাও অপ্রতুল এবং টেকনাফে তা নেই বললেই চলে। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারসহ ক্রেতা সাধারন। ২৩ জুলাই সোমবার টেকনাফ ও হ্নীলার তরকারী এবং মুদির দোকানের বাজার ঘুরে দেখা যায়- আলু, পেয়াজ, করলা, কাঁচা মরিচ, টমেটো ও শসার দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসবের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। পাশাপাশি টেকনাফে মাছের অকাল চলায় ফার্ম মুরগীর দামও আগের চেয়ে ১৫-২০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও শষার দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি কাচা মরিচ বিক্রি করা হয়েছিল ৭০ টাকা থেকে ৮০ আর শষা ২০ থেকে ২৫ টাকায়। আর কয়েকদিনের ব্যবধানে রমজান আসায় এর দাম লাফ দিয়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকা, ৩৫-৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এছাড়া বেগুণ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০, করলা ৪০ থেকে ৫০, পটল ৩৫ থেকে ৪৫, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০, ঝিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ ও এনাজি কলা হালি প্রতি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া ফার্ম মূরগী কেজি ১৯০ থেকে ২’শ টাকা, গরু ৩’শ থেকে সাড়ে ৩’শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সবজির পাশাপাশি বাজারে সব ধরণের শাকের দামও বেড়েছে। বাজারগুলোতে লাল শাক, পুঁই শাক, কলমি শাক বিক্রি হচ্ছে বেশী দামে। তবে সাধারন ক্রেতারা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিংসহ প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর প্রতি জোর দাবী জানান।
চোরের দেশে মনিটরিং করে ও কাজ হবে না এক মাত্র আল্লাহকে ভয় করা ছারা । মুল্যবুধের অবক্ষ্য় রোধ করতে হলে একমাত্র ইসলাম সম্পকে জানতে হবে এবং পরতে হবে তাহলে সমাজে সৃংখলা ফিরে আসবে…..আমিন