টেকনাফ প্রতিনিধ, টেকনাফঃ- টেকনাফের রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান ভূমি অফিসটি দালালদের নিয়ন্ত্রনে। দালাল ছাড়া কোন কাজই সহজে হয়না। ভূমি অফিসের একশ্রেণী দুর্নীতিবাজ তহশিলদার, কানোনগো অফিস সহকারী ও কর্মচারীদের সাথে মধূর সর্ম্পক রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দালালদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। এ দপ্তর নিয়ন্ত্রন করছে দালাল ও শাসকদলের নেতাকর্মীরা। দালালেরা জমির নামজারী খতিয়ান ও অন্যান্য বিষয়ে কাজ করে দেয়ার নামে জমির মালিকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অফিসের সামনে জায়গা জমি নামজারী খতিয়ান সৃজন ও অন্যান্য নিয়ম নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সাইন বোর্ড প্রদর্শন করা হলে ও ইহা লোক দেখানো এবং নিজেকে এর দায় থেকে মুক্ত করা মাত্র। কিন্তু এর ব্যানারে আড়ালে চলছে ঘুষ বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা। ঘুষ বানিজ্য বেশী হওয়ায় জনগুরুতœপূর্ব দপ্তরে বাহির থেকে অতিরিক্ত কর্মচারী প্যারা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এদের মাসিক বেতনের টাকাগুলো আসে কোথায় ? নির্ধারিত ৮ থেকে ৯জন চিহ্নিত দালাল প্রতিনিয়ত এদপ্তরে লাগাতর থাকে। দালালের উৎপাতের সাধারণ ভূক্তভোগী সহজেই কাজ করতে পারেনা। অভিযোগ রয়েছে জমির নামজারী খতিয়ান সৃজন এর সরকারী ফ্রি ৫৩ টাকা। কিন্তু তার স্থলে নিচ্ছে সর্ব নিম্ম ৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং স্থান বেধে ৬/৭ লাখ টাকা। এমন অভিযোগ আজ মানুষের মুখে মূখে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ দপ্তরে ২/৩ জন জমির নামজারী খতিয়ান সৃজন করতে গিয়ে গত ৩ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এমন অভিযোগ নির্ভরযোগ্য সূত্রের। এসব ঘূষের টাকা টপটু বটম উপরে ভাগভাটোয়ারা হয়ে যাচ্ছে। একশ্রেণীর লোক এ সরকারের আমলে রাতারাতী জায়গা জমির মালিক বনে যাবার জন্যে ভেজাল জমির ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা দিয়ে নামজারী খতিয়ান সৃজন করছে। যারা চুক্তির মাধ্যমে জমির নামজারী খতিয়ান সৃজন করে তারা সহজেই পেয়ে যায়। আর যারা চুক্তি ব্যাতীত নামজারীর জন্য এ দপ্তরে আসে তারা হয়রানীর শিকার হয়। এ দপ্তরে যে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ৩বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরও কিভাবে তারা কর্মস্থল থাকেন, তাহা নিয়ে ও প্রশ্ন উঠেছে। দালালেরা নামজারী খতিয়ান সৃজন করতে গিয়ে জমির মালিকের কাছ থেকে যে পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন, তাহা নির্ধারিত স্থানে কি পরিমান ঘুষের টাকা পেলো ও তাহা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নামভাংগিয়ে দালালেরা জমির মালিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।