দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। দেবে গেছে মেঝে। বিমেও ফাটল। যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। তার পরও এতে বসে দাপ্তরিক কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এটি টেকনাফ পৌরসভা ভবন। উপজেলা প্রশাসনেও একই অবস্থা।
জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার প্রশাসনিক ভবনসহ তিনটি ভবনের অবস্থা খুবই করুণ। এতে রয়েছে নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, মহিলা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন, কৃষি, মৎ স্য, শিক্ষা ও সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ আবাসিক এলাকার নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, আবাসিক ভবন—রজনী গন্ধা, কনকচাঁপা, প্রীতিলতা, হাসনাহেনা, দোলনচাপা, পাবলিক হল, থানা ভবন, পুলিশ কোয়ার্টার্স, ভূমি কার্যালয়, তহশিল কার্যালয়, প্রেসক্লাব, খাদ্যগুদাম, অফিসার্স ক্লাব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার বাসভবনের অবস্থা নাজুক।
টেকনাফ পৌরসভার প্রকৌশলী জহির আহমদ বলেন, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ভাড়ায় নিয়ে পৌরসভার কার্যক্রম চলানো হচ্ছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু তার পরও কাজ করতে হচ্ছে।
মৎ স্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভবনে একটি শৌচাগার আছে। কিন্তু ওই অংশটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ভয়ে কেউ সেদিকে পা বাড়ান না।
সূত্র জানায়, ১৯৬৫ সালে অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে ভবনের তেমন সংস্কার করা হয়নি। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কক্ষে শুধু চুনকাম করা হয়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘থানা ভবনে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পলেস্তারা খসে পড়ছে। দেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে ফাটল। সম্প্রতি বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। ভবন মেরামতের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, ‘বৃষ্টির পানি পড়ে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নষ্ট হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভবনটি দিন দিন নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। prothom-alo.com