কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকার লেদা নীলাসহ বেশ কিছু বাজারে ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে অঘোষিত ধর্মঘট পালন করছেন। এলাকার চাল ব্যবসায়ীদের গুদাম থেকে চাল জব্দ ও তাদের নামে মামলা করায় এ ধর্মঘট পালন করছেন তারাজানা যায়, মিয়ানমারের জাতিগত দাঙ্গার পর সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এতে বাংলাদেশের কিছু চোরাকারবারী সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাচার করছে। এর ফলে বিজিবি সীমান্তের পাহারা জোরদারের পাশাপাশি পাচারকালে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদি জব্ধ করে।এক সপ্তাহ আগে লেদা ও মোছনী স্টেশনে কয়েকটি দোকানের গুদাম থেকে বিজিবি সদস্যরা দুই দফায় বিপুল পরিমাণ চাউল ও ময়দা জব্ধ এবং এক ব্যবসায়ীকে আটক করে এবং এক ব্যবসায়ীর নামে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় ব্যবসায়ী মহলে। এতে তারা দোকান পাট বন্ধ করে দেয়এদিকে ওই এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান পাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এভাবে দোকানে এবং গুদামে অভিযান চালিয়ে চাউল জব্ধ করা ও ব্যবসায়ীদের নামে মামলা দেয়া অযৌক্তিক। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দিতে এটি একটি কৌশল মাত্র
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, বিজিবির অভিযানে ব্যবসায়ীরা সাময়িক হয়রানি হলেও মিয়ানমারের পাচার বন্ধে সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের অভিযান ও চোরাই পণ্য আটক সরকারের নির্দেশনারই অংশ।এ অবস্থায় স্থানীয়রা সাধারণ ব্যবসায়ীদের দোকান ও গুদামে অভিযান না চালিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন পাচারের পয়েন্টে অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply