মমতাজুল ইসলাম মনু টেকনাফ… টেকনাফ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার হত দরিদ্রের পরিবারে বর্তমানে হাহাকার চলছে। পবিত্র মাহে রমজান অতি সন্নিকটে। অভাবী মানুষেরা বন্যায় সবকিছু হারিয়ে এখন নি:স্ব। এসব নি:স্ব পরিবারের পাশে সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসেনি কেউ। জানা যায়- বর্ষার শুরুতে ভারী বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে কয়েক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বসত বাড়িতে সংরক্ষিত মৌসুমী ধান, মরিচ, চালসহ বিভিন্ন কিছু নষ্ট হয়ে নিজের ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়া লোক গুলো বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। বাড়িতে রক্ষিত সারা বছরের উপার্জন যেমন নষ্ট হয়েছে তেমনি অসংখ্য বসত বাড়িও বিলীন হয়ে গিয়েছে। এসব পরিবার গুলো কে কোথায় কেমন আছে তার খবর জানতে কোন সংস্থা বা জনপ্রতিনিধি এবং সরকারী কোন সাহায্য তারা এপর্যন্ত পায়নি। ফলে অর্ধাহারে-অনাহারে অতি কষ্টে দিন যাচ্ছে এসব পরিবারের। সরেজমিন পরিদর্শনে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দরগারছড়া মসজিদের ইমাম হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ুব এর সাথে কথা বলে জানা যায়- প্রায় ৩ সপ্তাহ পূর্বে দরগারছড়া ও হাতিয়ারগুনা এলাকায় পাহাড়ি ঢলে অর্ধশত পরিবার বাড়ি ছাড়া হয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আলম টেকনাফ-শাপলাপুর সড়কের দরগারছড়া ঈদগাহ’র বিধস্থ দেওয়াল ও সড়কের ভাঙ্গন পরিদর্শনে এসেছিলেন। কিন্তু এযাবৎ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ কোন সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি বলে জানা গেছে। তাছাড়া স্থানীয় লোকজন জানায়- সরকারী-বেসরকারী কেউ আমাদের পাশে দাড়ায়নি। ফলে বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্তরা অত্যন্ত সংকির্ণ ও কষ্টে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করছে। বর্ষা মৌসুম এমনিতে উপার্জনের সমস্যা, তার উপর বন্যার অভাবের চাপ ও আসন্ন রমজানের প্রকট সমস্যা প্রতিমুহুর্তে অভাবীদের মুখে প্রস্ফুটিত হচ্ছে। এসব নি:স্ব পরিবারের পাশে দাড়ানো সময়ের দাবী বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
Leave a Reply