হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ।
টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলে পুলিশের সাথে ক্রসফায়ারে ১ চিহ্নিত ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। হোয়াইক্যং ফাঁড়ি পুলিশের দুঃসাহসিক অভিযানে ৩ডাতাকসহ বিপূল পরিমান ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে। আহত ডাকাতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরপর স্থানীয় জনসাধারনের মধ্যে স্বস্থি নেমে এসেছে।
সুত্রে জানাযায়- গত ১১ জানুয়ারী সন্ধ্যায় বাহারছড়া উপকূলে নোয়াখালী জুম্মাপাড়া সড়কে গণডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১২জানুয়ারী বিকাল ৩টারদিকে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও সঙ্গীয় কনস্টেবল সেলিম চৌধুরীসহ একদল পুলিশ ডাকাত মালেকের প্রধান সহযোগী বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী বাঘঘোনা এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২২), মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে শফিউল্লাকে (২০) কে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে হ্নীলা নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের পিছনে পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর সহযোগী মৃত সোনা আলীর ছেলে বার্মাইয়া জমির হোসেনকে আটক করে। তাদের ভাষ্যমতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের আস্তায় নোয়াখালী জুম্মাপাড়া এলাকায় পুলিশ অভিযান চালানোর সময় শব্বির আহমদের পুত্র ডাকাত সর্দার মালেক (৩৫) পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশও পাল্বটা গুলিবর্ষণ করে। এতে দুপক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষে একাধিক মামলার পলাতক আসামী উক্ত ডাকাত সর্দার গুলিবিদ্ধ হয়। চিকিৎসা দিতে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এছাড়া শামলাপুর ফাঁিড়র ইনচার্জ এস আই আব্দুল মোনাফ, কনস্টেবল নাজমুল হাসান ও আবুল মনসুর গুরুতর আহত হয়। আহতদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশ ডাকাত আস্তানায় অভিযান চালিয়ে লম্বা বন্দুক ১টি, এলজি-২টি, কার্টুজ ১১টি, রাইফেলের গুলি ২টি, গুলির খালি খোসা ৭টি, রামদা ২টি, দামা ১টি, মুখোশ ৫টি,মোবাইল সেট-১২টি ও ২০হাজার ৮০০ নগদ টাকা উদ্ধার করে।এদিকে আটক ডাকাত সদস্যদের সকালে কক্সবাজার আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। অপরদিকে নিহত মালেকের মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার (উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল) ফারুক আহমদ, ওসি ডিবি জাকির হোসেন, টেকনাফ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরহাদ, পরিদর্শক (তদন্ত) দিদারুল ফেরদৌস ও শামলাপুর ফাঁড়ী ইনচার্জ এস আই আব্দুল মোনাফসহ পুলিশ সদস্যরা এ অভিযানে ছিলেন। ####################