এটিএন ফায়সেল…পল্লী বিদ্যুৎ টেকনাফ জোনাল অফিস সদ্য সমাপ্ত ২০১১-২০১২ অর্থবছরে সব দিক দিয়ে চমক দেখিয়েছে। গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধিসহ বকেয়ার পরিমাণ ও সিস্টেম লস্ কামানোর পাশাপাশি বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। বিশেষত: গত এক সপ্তাহ ধরে টেকনাফে বিদ্যুৎ সরবরাহ অতীতের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এই এক সপ্তাহে রাতদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৩ ঘন্টাই বিদ্যুৎ ছিল। এতে গ্রাহকগণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে জুনসহ টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকেয়ার পরিমাণ ৯৮লাখ ১১ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- টেকনাফ উপজেলার ১টি পৌরসভা ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সেন্টমার্টিনদ্বীপ ছাড়া অবশিষ্ট ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রয়েছে। ১৮৪ টি অন্তর্ভূক্ত গ্রামের মধ্যে এপর্যন্ত ১৩০টি গ্রামেই বিদ্যুতায়িত হয়েছে। ১৯৯৪ সনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড(পিডিবি) পল্লী বিদ্যুতের নিকট হস্তান্তর করার সময় লাইনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৯০.০৫ কিলোমিটার। এরপর নবায়ণ করা হয়েছে ৭২.৯৪ কিলোমিটার। বর্তমানে নির্মিত লাইনের পরিমাণ ৪৪৪.৬৪ কিলোমিটার। তম্মধ্যে ৪২৫.১২ কিলোমিটার লাইনেই বিদ্যুতায়িত করা হয়েছে। জাতীয় গ্রীড লাইনের অন্তর্ভূক্ত ১টি ৩৩/১১ কেভি-৫ এমভিএ উপকেন্দ্র ও ১টি অভিযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী টেকনাফ উপজেলায় বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। জুনসহ মোট সংযোগ প্রাপ্ত গ্রাহক সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৮৩। তম্মধ্যে আবাসিক ১০ হাজার ১৬৩, বাণিজ্যিক ২ হাজার ৯২৭, সেচ ২৬, শিল্প প্রতিষ্ঠান(জিপি/এলপি) ১৬৩, দাতব্য প্রতিষ্ঠান ৩৪৯, সড়ক বাতি ৫১, সোলার হোম সিস্টেম ৪। মাসিক গড় বিদ্যুৎ ক্রয়ের পরিমাণ ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬০ ইউনিট(কি: ও: ঘ:), এবং বিক্রয়ের পরিমাণ ১১ লাখ ৩ হাজার ৮৪৬ ইউনিট(কি:ও:ঘ)। বিদ্যুৎ বিক্রি বাবৎ মাসিক গড় ৫২ লাখ ৯৫ হাজার টাকার বিলের দাবীর বিপরীতে আয় হয় গড়ে ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। বাকিটা সিস্টেম লস্ । বর্তমানে চালু ট্রান্সফরমার সংখ্যা ৫৬১ টি। বকেয়ার হিসাবে দেখা যায় জুনসহ মোট বকেয়ার পরিমাণ ৯৮ লাখ ১০ হাজার ৬৭৫ টাকা। এতে আবাসিক গ্রাহকদের কাছে ৫০ লাখ ৯৭ হাজার ৫৯৩ টাকা, বাণিজ্যিক ২৮ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৮ টাকা, সেচ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকা, শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১৫ লাখ ৫ হাজার ৯৬৮ টাকা, দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৭ টাকা, সড়ক বাতি ৭ হাজার ৩৩০ টাকা, সোলার হোম সিস্টেম ২৬ হাজার ৪৬৪ টাকা। বিভিন্ন কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্নকৃতদের কাছে বকেয়ার পরিমাণ ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৬৩ টাকা। এতে রয়েছে আবাসিক ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪৬ টাকা, বাণিজ্যিক ৪ লাখ ৬০ হাজার ৮৯০ টাকা, সেচ ১ হাজার ৯৬৬ টাকা, দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ২১ হাজার ২৬৫ টাকা, সড়ক বাতি ৭ হাজার ৭৪০ টাকা। তাছাড়া সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের বিদ্যুতের বকেয়া রয়েছে ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৮৮ টাকা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বকেয়ার পরিমাণ ৮২ হাজার ২৫৮ টাকা। খোঁজ নিয়ে ও গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায়- টেকনাফ জোনাল অফিস বর্তমানে কর্মরত ডিজিএম মো: কামাল হোসেন গত ৮ জানুয়ারী টেকনাফে যোগদান করার পর থেকে টেকনাফে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। তবে এই অফিসের ক্ষমতা বহির্ভূত কিছু সমস্যা নিয়ে গ্রাহকগণ হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে টেকনাফ থেকে বদলি এবং ১ জন ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিজিএম মো: কামাল হোসেন বলেন- নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি, কতটুকু সফল হয়েছি তা গ্রাহকগণই ভাল বলতে পারবেন। তাছাড়া বকেয়া আদায় এবং সিস্টেম লস কমিয়ে আনতে ও চুরি বন্দে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।######
Leave a Reply