হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফঃ
সেবাদানকারী বিভিন্ন দপ্তরের সাথে গ্রাম সংরক্ষণ দল সমূহের সমন্বয় ও যোগাযোগ উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘নেটওয়ার্ক ও লিংকেজ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ’ ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ইসিএ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মোঃ সামছূল ইসলাম মেহেদী এতে সভাপতিত্ব করেন। ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় কনজারভেশন ম্যানেজম্যান্ট এর নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সমাজ ভিত্তিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন(সিবিএ-ইসিএ) প্রকল্প টেকনাফ উপজেলায় ১৭টি গ্রাম সংরক্ষণ দল নিয়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই অংশ হিসাবে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সেবা দানকারী দপ্তরের সাথে গ্রাম সংরক্ষণ দল সমূহের সমন্বয় ও যোগাযোগ উন্নয়নের লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। নেকমের প্রজেক্ট অফিসার নারায়ন দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- টেকনাফ সিবিএ-ইসিএ প্রকল্পের ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ইউসুফ হাসান। কর্মশালা উদ্ধোধন করেন- উপজেলা ইসিএ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মোঃ সামছুল ইসলাম মেহেদী। জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন ধারণা উপস্থাপন করেন- টেকনাফ সিবিএ-ইসিএ প্রকল্পের কমিউনিটি এন্ড ইনষ্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার মোঃ আবদুল মালেক। নেকমের কার্যক্রম বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- নেকমের ফিল্ড ম্যানেজার মোঃ শফিকুর রহমান। ভিডিও স্লাইটের মাধ্যমে স্ব-স্ব দপ্তরিক সেবা দানের ফিরিস্তি তুলে ধরেন- প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ একেএম হুমায়ুন কবির, কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল লতিফ, সমাজ সেবা অফিসার মোঃ আব্দুল মান্নান, যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ মামুন, সিনিয়র মৎস্য অফিসার ছৈয়দ হুমায়ুন মোর্শেদ, মহিলা বিষয়ক অফিসার হুমায়ুন কবির, সমবায় অফিসার বখতেয়ার কামাল। কর্মশালায় সরকারী কর্মকর্তা, ১৭টি গ্রাম সংরক্ষণ দলের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিজিবি’র প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন। বিজিবি’র নায়েক সুবেদার বক্তব্য রাখেন ও সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল মামুন সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন। কর্মশালায় বলা হয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ২০৫০ সনের সাগরের তলদেশ ১মিটার উচ্চতা লাভ করবে। এতে পটুয়াখালী, বরগুনা, ফিরোজপুর, মেহেদীগঞ্জ এ ৪টি জেলার উপকূলীয় এলাকার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে। তাছাড়া ২১টি জেলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। উপকূলীয় এলাকার প্রায় ২কোটি মানুষ বহুমুখী ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ১২% উৎপাদন হ্রাস ও ধানের উৎপাদন ৮% কমে যাবে। ###########