নুর হাকিম আনোয়ার:টেকনাফে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় ১টি কার ভাংচুর করা হয়েছে। ৫ জুলাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দু-গ্র“প নাজির পাড়া বনাম মৌলভীপাড়া ও হাবিবপাড়া মূখামূখি অবস্থানের ফলে এএলাকায় টমটমে পরিস্থিতি বিরাজ করে আসছিল। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার শাহ আলম ও চেয়ারম্যান নুরুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল্লাহ মনির ও ইউপি সদস্য ছৈয়দ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উভয় পরে সাথে বৈঠক করে সমঝোতার চেষ্টা করে। উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া ও হাবিরপাড়া এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যে সংর্ঘষের সূত্রপাত হয়। এতে কমপে ১৫-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলির ঘটনা ঘটে ৪০ জন আহত হয়। মূলত ফুটবল খেলার পরাজয় মেনে নিতে না পারায় নাজির পাড়া এনামূল হক একাদশ বনাম হাবিবপাড়া ও মৌলভীপাড়া একাদশের মধ্যকার ০-৩ গোলে হাবিবপাড়া একাদশ বিজয়ী হয়। খেলার শেষের এক পর্যায়ের সাবরাং’র এক খেলোয়াড় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এতে কথা কাটাকাটির জের ধরে সন্ধ্যায় ছিদ্দিক আহমদ, নুরুল আমিন ও রশিদ আলম মোটরসাইকেল যোগে টেকনাফ থেকে বাড়ি ফেরার পথে চকবাজার এলাকায় তাদের গতিরোধ করে মারধর ও রশিদ আলমকে ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে হাবিরপাড়ার গ্রামবাসীরা এগিয়ে এসে উভয়প দেশীয় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে গুরুতর আহত রশিদ আলমকে আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যন্য আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন অথ্যাৎ শুক্রবার সকাল থেকে জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। প্রত্যদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়- নাজিরপাড়ার ইউপি সদস্য ছৈয়দ হোছনের পুত্র আলাউদ্দিন সাবরাং স্কুলে যাওয়ার পথে হাবিবপাড়া তিন রাস্তায় পৌঁছলে তাকে রিক্সা থেকে নামিয়ে আটকে রাখা হয়েছে মর্মে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নাজিরপাড়ার এলাকাবাসী সড়কে মহড়া দেয় এবং উদ্ধার করে আনতে প্রস্তুতি নেয়। এ সময় মৌলভীপাড়ার এলাকার মৃত লাল্লুর পুত্র নবী হোছেন ভূট্রো প্রাইভেট কার নিয়ে টেকনাফ বাজার থেকে যাওয়ার পথে নাজিরপাড়ায় পৌঁছলে নাজিরপাড়ার লোকজন চট্টমেট্রো ১১-০৬১০ নম্বর কার গাড়িতে ভাংচুর চালায় ও মৌলভী পাড়ার ফজল হাজীর পুত্র আবদুর রহমানের একটি গৃহপালিত ছাগল ধরে নিয়ে যায়। বর্তমানে ভাংচুরকৃত গাড়িটি থানার হেফাজতে রয়েছে এবং এএলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। প্রত্যদর্শী সূত্রে জানা যায়- ব্যবসায়ী সাইফুল করিমের বাড়িতে বিষয়টি মিমংসার উভয় পকে নিয়ে বৈঠকে বসে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।