সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন….টেকনাফে বাহারছড়ার ইউনিয়নের জমির মালিকেরা কতিপয় দালালের হাতে প্রতারণা ও হয়রানি শিকার হয়ে আসছে। এর প্রতিকার চেয়েও তারা নিস্তার পাচ্ছেনা। এক সৌদি প্রবাসীর জায়গা স্থানীয় দালাল চক্র ঢাকার ব্যবসায়ী কর্তৃক জবরদখলের গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘঠনাটি ঘঠেছে টেকনাফ উপজেলার সমূদ্র উপকুর্বতী বাহরিছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওর্য়াড বান্যাপাড়া এলাকা। জানা যায় বান্যা পাড়ার মৃত এজাহার মিঞার পুত্র মুহাম্মদ মিঞা দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ সৌদি প্রবাস জীবনে ছিলেন। টেকনাফে জায়গা জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়াতে বাহারছড়া সমূদ্র উপকূলীয় ইউনিয়নের জায়গা জমির কদর বাড়ে। ঢাকার ব্যবসায়ী বাহারছড়া শীলখালী ও শামলাপুর এলাকার জায়গা জমির ক্রয় করে মালিকানা হওয়ার জন্য স্থানীয় দালালের শরাপন্ন হয়। দালালেরা একজনের জমি অন্যজনের কাছে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ভূয়া নামজারী খতিয়ান সৃজন করে ঢাকার ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এ খবর জানার পর প্রবাসী মুহাম্মদ মিঞা বাহারছড়া বান্যাপাড়া নিজ গ্রামে চলে আসে। স্থানীয় বান্যাপাড়া ও শামলাপুর এলাকার দালালের খপপরে পড়ে সহজ সরল সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদ মিঞা। অবশেষে সে পৈত্রিক উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ২৪ শতক শীলখালী মৌজার নাল জমি ঢাকার ব্যবসায়ী মাহফুজুর আরিফ গং এর কাছে বিক্রি করে। ২০০৭ সালে জমি রেজিঃ সম্পাদন করার পর এ সুযোগে সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদ মিঞাসহ ৩ সহোদরে পৈত্রিক সম্পত্তির ১ একর ১৯ শতক জমি জবরদখল করে ফেলে। দালাল হেলাল ও হাবিবের যোগসাজশে এভাবে পরের জমি ঢাকার ঢাকার ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়ে আখের গোছানোর কাজে লিপ্ত থাকায় জায়গা জমি সংক্রান্ত মালিকানা বিরোধ ও দখল নিয়ে স্থানীয় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ফেলে। এছাড়া ও তাদের বিরুদ্ধে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ভূক্তভোগী সূত্রে তথ্যে জানা যায় উক্ত দালালের সাথে ভূমি অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ তহশিলদার ও কর্মচারীর সাথে গভীর সখ্যতা থাকায় তারা এলাকায় রাজরাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদ মিয়া অপর ও ৩ ভাই পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বিপুল নাল জমির মালিক। এ জমির উপর উক্ত দালালের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। এসব জমির মূল্য বেশী তাই দালাল হেলাল ও হাবিব এসব জমি চলে বলে কৌশলে ঢাকার ব্যবসায়ী মাহফুজ আরিফ গং এর হাতে তুলে দেয়ার জন্য ওরা মরিয়া হয়ে উঠে। সহজ সরল সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদকে দালালেরা মামলা ও হামলার হুমকি দিয়ে আসছে। এসব হুমকি ও ধমকির প্রতিকার চেয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি, থানা ও আদালতে এর প্রতিকার চেয়ে আইনের কাছে অশ্রয় নেয়। জবরদখকারী ২৪ শতক জমির পরিবর্তে অতিরিক্ত জমির চতুরদিকে সীমানা প্রাচীর করে স্থায়ীভাবে দখল করে রাখে। সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদ সিঞা গত ১০ জুন উপজেলা আঃলীগ কার্যালয়ে দেখা হলে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন। দালালেরা আমার বসত ভিটা জায়গা পর্যন্ত জোর পূর্বক দখলে নেয়ার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের শক্তির খুর্টীর জোর নাকি অনেক উপরে। সে জন্য তারা এখানে কাউকে পাত্তা দিচ্ছেনা। এদিকে সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদ মিঞা এর প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। প্রবাসী মুহাম্মদ ২ স্ত্রী ৪ কন্যা সন্তান রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম স্ত্রী ও ২ ছেলে সৌদি আরবে এবং অপর স্ত্রী ও ২ মেয়ে তার নিজ জম্মস্থান বাহারছড়া বান্যাপাড়া এলাকায় থাকলে ও তারা গভীর উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে। #############