হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ টেকনাফে এক দলিল লিখকের প্রতারনা শিকার হয়ে ২.৩৩ একর জমি হারাতে বসেছে সত্তোর্ধ এক বৃদ্ধ। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার মৃত মোখলেছুর রহমানের পুত্র নজির হোসেন(৭০)। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সাব-রেজিষ্ট্রার বরাবর দলিল বাতিলের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- নজির হোসেন জমি বিক্রির প্রস্তাব করিলে টেকনাফের মৌলভী পাড়ার ফকির আহমদের পুত্র মোঃ হোছন জমি ক্রয় করতে সম্মত হয় এবং উভয় পক্ষ দাম-দর সাব্যস্থ করিয়া গত ৩ জুলাই টেকনাফ(০২) মৌজার বি, এস ১২৯১ নং খতিয়ানের ০.২৩৩৩একর জমি টেকনাফ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে উপস্থিত হয়ে সাব-রেজিষ্ট্রার কর্মকর্তার সম্মুখে টিপ-দস্তখত সম্পাদন করিয়া বিক্রি করে। যার দলিল নং- ২০১৭/২০১২। কিন্তু দলিল লিখক সনজিত কুমার শীল উক্ত দলিলে ভূল হইয়াছে মর্মে আবারো জমির মালিক অশিক্ষিত বৃদ্ধ নজির হোসেন থেকে দলিলে টিপ-স্বাক্ষর নিয়ে ২য় বার দলিল সম্পাদন করে। যার দলিল নং- ২০১৬/২০১২। পরে নজির হোসেন জানতে পারে একই তারিখে ২ টি দলিল সম্পাদন করা হয়েছে। যে দলিলটি শিলবনিয়া পাড়ার মোঃ হানিফের পুত্র সাইফুল করিমের নামে ২.৩৩ একর জমি রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করিয়াছে। তবে এ ব্যাপারে সাইফুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার নামে জমি রেজিষ্ট্রি বা দলিল সম্পাদন হওয়ার কথা অবগত নয় বলে জানিয়েছেন। এদিকে নজির হোসেনের অজান্তে এবং প্রতারনার মাধ্যমে দলিল লিখক সনজিত কুমার শীল দলিলটি সম্পাদন করিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করিয়াছেন। এছাড়া উক্ত খতিয়ানে কোন প্রকার ডোবা শ্রেণীভূক্ত জমি নেই। দলিল লিখক সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্য জাল খতিয়ান করে নাল জমিকে ডোবা বানিয়ে রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করিয়াছেন। অভিযোগকৃত জমি হচ্ছে টেকনাফ(২) মৌজার বিএস ১২৯১ নং খতিয়ানের বি, এস ২০৩৮১ দাগের আন্দর। একজন দলিল লিখক দলিলে ভূল হয়েছে উল্লেখ করে আবারো টিপ-স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারনা ও বিশ্বাসঘাতকতা করে রেজিষ্ট্রি দলিল সম্পাদন করায় ক্ষোভ ও প্রতারকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন সচেতসমহল। এদিকে বৃদ্ধ নজির হোসেন তার জমি ফেরত পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে দলিল লিখক সনজিত কুমার শীলের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবী করেন।
Leave a Reply