নিজস্ব প্রতিবেদক…জেল ফেরত দাগি সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে হোয়াইক্যংয়ে অপরাধী চক্রের উত্থান-অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্ত্রীর উপর পাশবিক নির্যাতন শিরোনামে গতকাল কক্সবাজারবাণীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে সীমান্ত উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। হোয়াইক্যংয়ের আনাচে কানাচে নির্যাতিত নিপীড়িত সাধারণ মানুষ প্রকাশিত সংবাদে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে কক্সবাজারবাণীকে সাধুবাদ জানিয়ে এসব অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সাথে টেকনাফ থানা পুলিশ অপরাধের নেতা মা কেটে জেল ফেরত শাহ আলমসহ চিহ্নিত ৮ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত আইনে মামলা নিয়েছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, আসামিপক্ষ এই মামলা থেকে রেহাই পেতে এলাকার বর্ণচোরা কয়েক পাতিনেতার আশ্রয় নিয়েছে। থানা, পুলিশ ফাঁড়িসহ বিভিন্ন স্থানে তারা নানা প্রকার তদবির চালিয়ে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে নিজেদের সাধু বানাবার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে চিহ্নিত অপরাধীচক্রের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও দালাল চক্রের কোন তদবির স্থানীয় প্রশাসন আমলে না নেওয়ায় বেকায়দায় পড়া এই চক্র আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করে মামলার বাদিপক্ষের উপর ত্রাস সৃষ্টি ও তার ভিটেবাড়ি কেড়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই অবস্থায়, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মোঃ জাহাঙ্গীর, টেকনাফ থানার নবাগত ওসি ফরহাদ, স্বপন কুমার নাথ (ওসি তদন্ত), হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ বখতেয়ার ও এএসআই মাহফুজের আপোষহীন ভূমিকাকে আন্তরিক অভিবাদন জানিয়ে হোয়াইক্যংয়ের সচেতনমহল বলছেন, আসল জায়গায় হাত পড়েছে। এই চক্রের সদস্যরা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার সাতঘরিয়া পাড়া, খারাংখালীসহ আশপাশের এলাকায় প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি, সড়ক ডাকাতি, ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা ব্যবসা, সীমান্ত ওপার মিয়ানমারে সার, কেরোসিন, ঔষধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাচারসহ এলাকা অভ্যন্তরে নিরহ লোকজনের জায়গা জমি জবর দখলে লিপ্ত দীর্ঘদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট এলাকা অভ্যন্তরে তাদের ব্যাপক ক্ষমতা, অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিয়াল বাহিনীসহ বর্ণচোরা প্রভাবশালী চক্র জড়িত থাকায় এতদিন তাদের ভয়ে কেউই মুখ খোলেননি।
অতএব, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তদন্তপূর্বক জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে এলাকার মানুষকে শান্তিতে ঘুমাতে দেয়ার প্রশাসনের কাছে দাবি এখন সর্বমহলের।
Leave a Reply