তাহেরা আক্তার মিলি :-টেকনাফ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে গ্যাসের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি করেছে। সাতদিনের ব্যবদানে ১১ শ টাকা থকে একলাফে ১৭ শ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অসহায় গ্যাস ব্যবহারকারীরা প্রশাসনের দ্রুত হস্তপে ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার দাবী উঠেছে। চট্্রগ্রাম থেকে গ্যাস ক্রয়সহ টেকনাফ আনা পর্যন্ত সিলিন্ডার প্রতি খরচ হয় সাড়ে ৮শ টাকা। এখন তার দ্বিগুন দাম নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ। ভোক্তারা জানান আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতো গ্যাসের বাজারেও আগুন লেগেছে। বর্তমানে সিলিন্ডার গ্যাস পাওয়া গেলে দাম গত সপ্তাহের চেয়ে অনেক বেশী। সামনের দিনগুলোতেও মূল্য কমার কোন সম্ভাবনা নেই, এমনটিই বলেছেন গ্যাস পরিবেশকরা। তবে মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি তাদের হাতে নেই বলেও জানালেন কয়েকজন গ্যাস পরিবেশক। চট্টগ্রাম থেকে বেশি মূল্য কিনতে হয় বলে টেকনাফ বাজারে বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হয় দাবি পরিবেশকদের। জানা যায়, চট্্রগ্রাম থেকে কক্সবাজার আনা পর্যন্ত প্রতি সিলিন্ডার গ্যাসের পেছনে ব্যবসায়ীদের ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে আটশ টাকা। আর টেকনাফে এসেই তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে গণমাধ্যমে লেখালেখির পর কিছুদিনের জন্য ব্যবসায়ীরা গ্যাসের মূল্য কমিয়ে দেয়। তবে তা কখনো এক হাজার টাকার নীচে নামেনি। মূলত ব্যবসায়ীরা কৌশল হিসেবেই এই মূল্য কমিয়ে দেয়। জানা যায়, টেকনাফ উপজেলায় কয়েকজন গ্যাস পরিবেশকের নেতৃত্বে রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটই উপজেলার সিলিন্ডার গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। নিজেদের দখলে উপজেলার জন্য বন্টনকৃত লাইসেন্সের দখল থাকার এ কাজ করতে তাদের বেগ পেতে হয় না। আর এটিই বর্তমানে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম রয়েছে। উপজেলার বড় গ্যাস পরিবেশকদের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিষ্টানে গ্যাস বিক্রি না করারও অভিযোগ রয়েছে। নিজেরা বিক্রি না করে বিভিন্ন ুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে তারা গ্যাস বিক্রি করে দেন। এ েেত্র কয়েক হাত বদল হয়ে গ্যাস ব্যবহারকারীদের হাতে পৌঁছায়। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এটিও একটি অন্যতম কারণ। ২ জুলাই গ্যাসের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারী এল.পি. গ্যাস প্রতি সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে ১৬শ থেকে ১৭ শ’ টাকায়। অন্যদিকে যমুনা, বসুন্ধরা গ্যাস বিক্রি হচ্ছে প্রতি সিলিন্ডার ১৫শ ২০ টাকায়। গত সপ্তাহেও যা ১৫শ থেকে সাড়ে ১৫শ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানেই যা ৩শ থেকে সাড়ে তিনশ টাকা বেড়ে গেছে। #######