নুর হাকিম আনোয়ার : (“মাইনসের দ্বারে দ্বারে ন ঘুরি গোশত লংল্ল্যা ন যায় মদদী ও ফইর গোশত হস্তা কিনিরদে”) ত্যাগের সুমহান আর্দশ নিয়ে শনিবার সারা দেশে পালিত হল মুসলমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল আজহা। এ উপলক্ষে দরিদ্র অসহায় অনেক মানুষই কোরবানির মাংস সংগ্রহ করেন। ঈদের দিন টেকনাফ বাজারে ঘুরে দেখা গেছে,টেকনাফ জালিয়া পাড়ার নবী হোছন। তার দু’ সন্তান আর স্ত্রী নিয়ে বসবাস । তিনি কিন্তু ট্যাবলেট ও মদ্যপান করেন। স্ত্রী সখিনা খাতুন নিজে অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করেন। আর তার স্বামী দিনমজুর। অন্যান্য অনেক অসহায় মানুষের মতো তাদের পরিবারও কোরবানির মাংস সংগ্রহ করেছে। কিন্তু বিকেলে বিক্রির জন্য মাংসগুলো উপরের বাজারের মাছ বাজারে নিয়ে আসেন তারা। হাড়-হাড্ডিসহ আনুমানিক ৩ কেজির মতো মাংস হবে। সখিনা খাতুন ও নবী হোছন এ মাংসগুলো ৩৫০ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। পাশে তাদের সন্তানেরা তাকিয়ে ছিল এ সময়। সখিনা খাতুন প্রতিবেদককে বলেন,‘‘সব মাংস বিক্রি করি নাই। কিছু রেখে দিয়েছি রান্না করার জন্য। মাংস বিক্রির কারণ সর্ম্পকে তিনি আরো বলেন,‘‘কোরবানির মাংসই তো সব নয়।আরো অনেক কিছুর প্রয়োজন। বিক্রি করলে কিছু টাকা পাবো। তা দিয়ে স্বামীর টাকা লাগবে, টিয়া ন দিলে আ্যরে মারিব টিয়াল্ল্যাবুলি বেচিদ্দে এরপর কিছু টাকা বাড়তি থাকলে তা দিয়ে অন্য কিছু করবো।’’ শনিবার বিকেলে ওই টেকনাফ উপরের বাজারের মাছ বাজারে সামনে দম্পতির মতো আরো অনেকেই কোরবানির মাংস বিক্রি করেছেন। মাংসগুলোর মান ততোটা ভালো নয়। তবে এসব মাংস কেনার ক্রেতা অনেক। চলে দর কষাকষি। এ বাজারে ১ কেজি মাংসের দাম গড়ে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। মাংসের ধরন বুঝে কখনো কখনো তা ১৮০-১৯০ টাকাও হয়।এখানে ভিক্ষাবৃত্তি করে সংগ্রহ করা মাংসের পাশাপাশি অনেক শ্রমিককে মাংস বিক্রি করতে এসেছিলেন। যারা বিভিন্ন কোরবানির গরু জবাই এবং মাংস ছাড়ানোর কাজ করেছেন।এ রকমই একজন সৈয়দ নুর প্রতিবেদককে জানান, তিনি দু’টি পরিবারের গরু জবাই এবং মাংস ছাড়ানোর কাজ করে ১০/১১ কেজি মাংস পেয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক। তিনি বলেন, ‘‘এতো মাংস ঘরে প্রয়োজন নাই, তাই বিক্রি করে দিচ্ছি। ঘরের জন্য আলাদা মাংস রাখা আছে।’’এসব ক্রেতাদের মধ্যে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেনীর অনেকে রয়েছেন। তবে বেশির ভাগই নিম্নবিত্ত ও অসহায় শ্রেনীর মানুষ। যারা আত্ম সম্মানবোধসহ বিভিন্ন কারণে অন্যের বাড়ি বাড়ি মাংস সংগ্রহ করতে যান না। বাজারে কিনতে আসা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতারা চুপ করে থাকেন। সঙ্গে লুকানো চটের ব্যাগ থাকে। খুব একটা দরদাম করেন না তারা । কারণ, এ বাজারের ক্রেতা হিসেবে পরিচিত হতে চান না তারা। দর-দাম মিললে চট করে কিনে নিয়ে বাড়ি চলে যান সবার অলক্ষ্যে। এ রকম একজন মোহাম্মদ । কথার তালে মাংস কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। অথচ কিছুক্ষণ আগেও তিনি সখিনা খাতুনের কাছ থেকে মাংস কিনতে চেয়েছিলেন। দরে মিলে নাই বলেন কেনেননি তিনি। তবে নবী হোছনের মতো অনেক নিম্নবিত্ত মানুষ সস্তায় মাংস কিনতে পেরে বেশ খুশি। লেদা ক্যাম্পের বাসিন্দা বশির আহম্মদ প্রতিবেদককে বলেন,‘‘বাজারে গোশতের যেই দাম। এতো টাকা যোগাড় করতে পারি না। এখন সস্তায় কোরবানির গোশত পাইছি, তাই কিনলাম।’’ নিজে মাংস সংগ্রহ করতে যাননি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘‘মাইনসের দ্বারে দ্বারে ঘুইরা মাংস সংগ্রহ করতে বালা লাগে না। তাই সস্তায় কিনতে পারছি, এতেই খুশি।’’ এসব ক্রেতাদের বাইরে এ বাজারে আরেক শ্রেনীর ক্রেতা রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা হলেন, কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী, হালিম ব্যবসায়ী। যারা এক সঙ্গে অনেক মাংস কেনেন এ বাজার থেকে। যা ফ্রিজে সংরক্ষণ করে পরে বাজারে হালিম কিংবা হোটেলে মাংস হিসেবে বিক্রি করবেন। এরা একেকজন ২০-৩০ কেজি পর্যন্ত মাংস কেনেন। কখনো কখনো তারও বেশি।
দ
Je kaney teknaf er 45% look YABAH TABLET er mato haaram income er saatey jarito. se kaney kurban er magnsow bikri kora aami haraam mone korsi na.