নুর কামাল….টেকনাফের হ্নীলা সিকদার পাড়ার মৌলভী ইসহাক ওরফে বর্মাইয়্যা ইসহাক কে উনছিপ্রাং মুহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা থেকে আনুষ্টানিক বহিস্কারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকার শতাধিক মানুষের পক্ষে রফিক ও ফরিদুল আলম স্বাক্ষরিত প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগ নামা থেকে জানা যায়, হ্নীলার জনৈক দ্বীন মুহাম্মদের পুত্র সাবেক বর্মী নাগরিক মোঃ ইসহাক দীর্ঘদিন থেকে মুহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার নামে দুবাই,সৌদি আরব,মালয়েশিয়া,সিংগাপুর,পাকিস্তান সহ নানা দেশে কালেকশান তথা চাঁদা তুলতে যাওয়া আসা করত। তবে মাদ্রাসায় হাতে গুনা কিছু টাকা দিলেও সিংহভাগ টাকা নিজে আত্বসাত করে দোকানদারীও জমি ক্রয় করে।এ ভাবে উক্ত বর্মাইয়া ইসহাক বিভিন্ন ধার্মিক দানবীর মানুষের দেয়া যাকাত ও হয়রাতির টাকা নিয়ে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্টিত করেছে। এক কালের আতর বিক্রেতা, বর্তমানে অঢেল সম্পদের মালিক হয় কি করে ? অভিযোগে আরো জানা যায়- একাধিকবার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি তাকে সতর্ক করার পর ও মাদ্রাসায় মনগড়া হিসাব দিয়ে দাপটের সাথে চলাচল করছে। অপরদিকে বিদেশে চাদা করার সময় অনৈতিক কাজে ধরা পড়ে। দুবাই ইয়ারপোর্টে রশিদবুক ও মেডিসিন সহ তাকে দুবাই পুলিশ আটক করে। সাবরাং ফারুকিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মাহবুব জানান,উক্ত ইসহাক কে আমাদের মাদ্রাসা থেকে বহিস্কারের পরও অদ্যবধি আরব আমিরাত ও সৌদিআরবে ফারুকিয়া মাদ্রাসার নাম দিয়ে চাঁদা তুলেছে। যাকাতের কাপড় এনে দোকানে বিক্রি করছে।বিষয় টি জেলা ইত্তেহাদুল মাদারিস তথা কক্সবাজার জেলা কাওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সেক্রেটারীর নিকট বিচার দায়ের করেছি। বিচারক তাকে তলব করলে সে বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে। বর্তমানে কালেকশানের (মুহাচ্ছেল)কাজে নিয়োজিত হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং মুহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আসছে,পরবর্তি মিটিং এ এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।উক্ত ইসহাক আমাদের মাদ্রাসার পক্ষ থেকে দুবাই বা সৌদি আরবে চাদা করতে যাওয়ার জন্য কমিঠির অনুমতি নেই।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইসহাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে নিজেকে বর্মাইয়া নয় বলে দাবী করে বলেন, আমার বিরুদ্বে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।
নুর কামাল,টেকনাফ ২৪.০৬.২০১২
মোবাইল-০১৭১৫৬৭৫৬৯১
Leave a Reply