হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম … টেকনাফে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ অভিযানে ইয়াবাসহ ২ জন গৃহবধুকে গ্রেপ্তার এবং মাদক বিক্রির নগদ ১ লক্ষ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব—১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী জানান, র্যাব সদস্যরা টেকনাফের দরগাহরছড়া বসত—বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৮৯ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ এক গৃহবধুকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত ইয়াবাসহ ধৃত গৃহবধুকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দরগাহছড়ার জনৈক শাহাদাত হোসেনের বসত—বাড়িতে মাদকদ্রব্য ক্রয়—বিক্রয়ের সংবাদ পেয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারী রাত ১০টার দিকে র্যাব—১৫ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল অভিযানে যায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ২জন লোক একটি বস্তা টেনে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী নুর সেতারাকে (২১) বস্তাসহ আটক করে। পরে উপস্থিত স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে বস্তাটি খুলে গণনা করে ৮৯ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত ইয়াবাসহ ধৃত গৃহবধুকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দরগারছড়া গ্রামে অবস্থানরত কুমিল্লার শাহাদাত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিল। অবশেষে ৮৯ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ আটক হন তার স্ত্রী নুর সেতারা (২১)। শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী নুর সেতারা আটক হলেও মূল গডফাদার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি টিম সাবরাং আলীর ডেইল এলাকায় পুলিশের অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ৩ হাজার ইয়াবাসহ রাশেদা বেগম নামে এক গৃহবধুকে আটক করা হয়। ধৃত গৃহবধু একই এলাকারা জয়নাল আবদীনের স্ত্রী বলে পুলিশ জানিয়েছে। এসময় মাদক বিক্রির ১ লাখ টাকা ও জব্দ করা হয়েছে। আটক ইয়াবা কারবারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
টেকনাফ—২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) জানান, টেকনাফের হ্নীলাস্থ লেদা পয়েন্ট সংলগ্ন নাফনদীতে বিজিবি জওয়ানেরা অভিযান চালিয়ে ইয়াবার চালান উদ্ধার করেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারী ভোরে টেকনাফ—২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হ্নীলাস্থ লেদা বিওপির জওয়ানেরা মিয়ানমার হতে মাদকের চালান পাচার হয়ে আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাফনদীতে নৌকা নিয়ে বিশেষ টহলে যায়। কিছুক্ষণ পর ৩জন লোক ১টি বস্তা কাঁধে নিয়ে নাফনদীর বুকে জেগে উঠা চরে উঠতে তাদের দাড়ানোর জন্য বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করে। তারা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে কাঁধে থাকা বস্তাটি ফেলে কৌশলে সাতাঁর কেটে মিয়ানমার সীমান্তে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে বস্তাটি উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ৭৫ লক্ষ ৯ হাজার টাকা মূল্যমানের ২৫ হাজার ৩০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। জব্দকৃত এসব ইয়াবা পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি,গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। ##
Leave a Reply