শাহীনশাহ,টেকনাফ= টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের একমাত্র স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্রের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের জনসাধারন। চিকিৎসা নিতে দূর দূরান্তে যেতে হচ্ছে কেটে খাওয়া এলাকাবাসীর। আবার অনেকেই টাকার জন্য চিকিৎসার অভাবে পড়ে রয়েছে। জানা যায়, ৬০ হাজার জনসংখ্যার একমাত্র হোয়াইক্যং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর চিকিৎসার জন্য জন দূর্ভোগ চরমে উঠে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকলে ও হঠাৎ করে গত কয়েকদিন পূর্বে এথিন নামের এক পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হিসেবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালূ করলেও গত দু’য়েক দিন হতে আবারো স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়। সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টায় ঝিমংখালী গ্রামের গনিমিয়ার স্ত্রী খাতুন বেগম(৫৫), আবুল কাসেমের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন ভাইরাস ও লিকুরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় চিকিৎসা করতে আসে স্বাস্থ্যে কেন্দ্রে। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও কেউ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দরজার তালা খুলে নাই বলে জানান,রোগী মাহফুজ। বর্তমান সরকারের চিকিৎসাসেবার যে ধারাবাহিক উন্নয়ন তার সুফল হোয়াইক্যংবাসীর মধ্যে বিদ্যামান নয় বলে জানান চিকিৎসা করতে আসা অনেক রোগী। হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকা অত্যন্ত দুঃখ জনক। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী মনে করেন। এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্রুতি পূর্ণ চাকমা জানান- দীর্ঘদিন জনবলের অভাবে কেন্দ্রটি বন্ধ ছিল। এখন থেকে নিয়মিত খোলা থাকবে তবে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের অনুপস্থিতের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।