এটি এন ফায়সাল , টেকনাফ
টেকনাফের হ্নীলায় পূর্ব শত্র“তার জেরধরে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এবার শফিক আহমদ মেম্বারের পাহাড়ী ঘোনা ও মৎস্যঘেরে রাতের আঁধারে স্বশস্ত্র হামলা চালিয়ে ধান, মাছ ও গরু-ছাগল লুটপাট করেছে। রোহিঙ্গা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে খামার-বাড়ি ভাংচুরের পর মরিচ,বেগুন,খিরা ক্ষেত এবং পানের বরজ গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করায় বেদম প্রহার করে আহত করা হয়েছে ৫ কর্মচারীকে। ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়ায় এলাকাবাসী আতংকের মধ্যে রয়েছে।
অভিযোগে জানাযায়-গত ২১নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টারদিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকায় কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলিবর্ষণ করে ৯জনকে আহত করার ঘটনায় মামলা দায়েরে ক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্রের গডফাদার স্থানীয় আব্দুস সালামের পুত্র আব্দুল হামিদ কাফিয়া, আব্দুল মজিদ প্রকাশ ভূলাইয়া বৈদ্যের পুত্র শাহ জালাল,শাহআলম,ছৈয়দ আলম,আবুল আলম,ছাবের আহমদ পুইন্যার পুত্র ছৈয়দুল আমিন ছৈয়দ্যা,নুরুল হুদা প্রকাশ ওদুইল্যা, নুরুল আমিন, নুরুল আবছার, ইসমাঈল মাষ্টারের পুত্র মোঃ সোলেমান প্রকাশ দেওয়ান, আব্দুল মান্নান, গুরা মিয়ার পুত্র আব্দুল শুক্কুর ও লুৎফর রহমান,বার্মাইয়া হোছনের পুত্র বাবুল, মুহাম্মদ ছালামের পুত্র হাফেজ আহমদ, বার্মাইয়া জবর মুল্লুকের পুত্র সালামসহ মোছনী শরণার্থী ক্যাম্প ও লেদা টালের ৮/১০জন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে পাহাড়ে অবস্থান নেয়। স্থানীয় জিন্নাহর পুত্র এরশাদ ও সাদের উক্ত সন্ত্রাসীদের রসদ এবং অস্ত্র সরবরাহ দেয়। হঠাৎ করে কাফিয়া ,শাহজালাল, ছৈয়দ আলম ৩ রাউন্ড ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। লোকজন ভয়ে বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ছুটে। স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী গাজী পাহাড়ের ১কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পশ্চিম শিলরজিরি মুখে এসে শফিক আহমদ মেম্বারের পাহাড়ী খামার ঘরে হানা দিয়ে ভাংচুর চালিয়ে ৫একর জমির ধান লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা দেওয়ায় বেদম প্রহার করে গুরা মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন,রাসেল, ফরিদ আহমদের পুত্র জালাল,আবছার কামাল ও নজির আহমদের পুত্র শাকেরকে আহত করে। এরপর সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ৫টি চাষের গরু, ৭টি ছাগল,১৪/১৫টি মোরগ-মুরগী লুট করে নিয়ে যায়। ক্ষুদ্ধ হয়ে ৭কানি জমির খিরা,বেগুন , মরিচ চাষ ও পানের বরজ গুড়িয়ে দেয়। তারপর পাহাড়ী মৎস্য ঘেঁর বাঁধ কেটে দিয়ে মাগুর ও তেলাপিয়া মাছ ধরে নিয়ে যায়। শফিক আহমদ মেম্বার গং ১০লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয় বলে দাবী করেন। এদিকে সন্ত্রাসীদের স্বশস্ত্র অবস্থানের কারনে কোন সংবাদকর্মী ক্ষতিগ্রস্থ চাষাবাদের ছবি ক্যামেরা বন্দি করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাফিয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানায়- এ অভিযোগ ভিত্তিহীন । রঙ্গিখালী এলাকার কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এ জাতীয় ন্যাক্কার জনক ঘটনা হয়ে থাকলে প্রশাসন তদারক করে দেখবেন। আমি চাকরীতে অফিসে ছিলাম। পূর্ব শত্র“তার জেরধরে আমাকে জড়ানো হচেছ। ######################################
Leave a Reply