হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ…….ঘনঘন রহস্য জনক বিদেশ সফরকারী সেই কলিম উল্লাহ,র অজানা কাহিনী বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও ভাবে প্রকাশিত হওয়ারপর গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত তথ্য নিয়ে সরেজমিন তন্দ পূর্বক রিপোর্ট উপরে প্রেরণ করেছে। তার বিরুদ্ধে পত্রিকা ও অনলাইনে চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে উক্ত মৌলভী কলিম উল্লাহ মোবাইল সিমসহ তার আস্থনা বদল করে আতœগোপনে রয়েছে। স্থানীয় লোকাজন তার ঘনঘন বিদেশ সফরের রহস্যনিয়ে চায়ের দোকানসহ সর্বত্র মুখরোচক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে শাহপরীরদ্বীপে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত পত্রিকা ও অনলাইনের চাঞ্চল্যকর সংবাদ টক অবদ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। মৌলভী নামধারী ভয়ংকর ও জঘন্য এই বুড়ো লোকটির বিদেশ সফরের নেপথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নানা তথ্য। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে কলিম উল্লাহ পেশায় একজন আদম পাচারকারী ও বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার নামে বেনামে রসিদ বই চাপিয়ে ভোয়া চাঁদা কালেক্সনকারী। চোরাইপথে আদম পাচার, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয়- প্রশয় ও তাদের জন্য তহবিল সংগ্রহসহ দেশদ্রোহী বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত । সে পাসপোর্ট বই নং বি-১২৪২৪৩৪সহ একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে প্রতি মাসেই ৪ থেকে ৫বার দেশের বাইরে গমন করে। টেকনাফ-মিয়নমার সীমান্ত হওয়ার সুবাদে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বিশেষত:সুন্দরী যুবতী নারী এনে কন্ট্রাকের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করাই তার প্রধান কাজ। ২০০৮ সনে মিয়ানমারের ২ যুবতিকে বাংলাদেশী পাসপোর্টদিয়ে সিঙ্গাপুরের পতিতালয়ে বিক্রির উদ্যেশ্যে নেয়ার পথে ঢাকা এয়ারপোর্টে আটক হয়েছিল। পরবর্তীতে মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে সে ২ যুবতিকে টেকনাফ ইউএনও,র কার্যালয় থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ফেরত দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করে। তার সফরের তালিকায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আরব আমিরাতসহ ১৬টি রাষ্ট্র রয়েছে। এসব রাষ্ট্রে নিয়মিত যাতায়াত ও সন্দেহ জনক চলাফেরা বর্তমানে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারীতে রয়েছে।তার অবৈধ কর্মকান্ডের সগযোগী হিসেবে আরো কয়েকজনের নাম তালিকায় আসছে। কলিম উল্লাহ আত্মগোপনে থাকলেও তার এক নিকট আত্মীয় একাজে সহযোগীতা দিয়ে অবৈধ কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। এদিকে বিশেষ সূত্রে জানা যায়- শাহপরীরদ্বীপ দক্ষিন পাড়ার হাকিম আলী খলিফার পুত্র মৌঃ কলিম উল্লাহ প্রসাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে বর্ডারক্রস করার কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোন কৌশল অবলম্বন করে যাতে তিনি বিদেশ পালিয়ে যেথে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ পূর্ণ আস্থার সাথে আইনি সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেছেন সচেতন মহল।###
আমার বাড়ি টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ। বস্তু নিষ্ট সংবাদ প্রকাশের জন্য টেকনাফ নিউজ ডট কমকে ধন্যবাদ। আপনার লেখা অব্যাহত থাকুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। শাহপরীরদ্বীপে অধিকাংশ মানুষ ভয়ংকর কলিম উল্লাহর সংবাদ প্রকাশের জন্য আনন্দিত। উক্ত কলিম উল্লাহ মৌলানার পোশাক পরিধান করে অন্যান্য হুজুরদের মান সম্মান ক্ষুন্ন করছে। এলাকার সবাই কলিম উল্লাহর অনৈতিক চরিত্রের জন্য তাকে ধিক্কার জানাই। লোকটির মুখে আল্লাহর রাসুলের নাম উচ্চারিত হলেও তা মূলত প্রতারণার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক পূঁজি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। শাহপরীরদ্বীপের মানুষ তাকে আন্তরিক ভাবে ঘৃণা করে। মৌলভী নামধারী কলিম উল্লাহ মূলত একজন বড় লমপট। ৭০ বছর বয়সে ২০ বছরের রোহিঙ্গা মহিলার প্রেমে পড়ে ৩৫ বছরের সংসার ও ১০ ছেলে-মেয়ে রেখে কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হুজুরের লেবাস পড়ে যারা জারজ সন্তানের জন্ম দেয় সে আবার কেমন ভাল মানুষ? তার ছোট ভাই মৌলভী নামধারী হাফেজ রফিকুল্লাহ একজন ধর্ম ব্যবসায়ি ও আদম পাঁচারকারী। বিভিন্ন দেশ থেকে মাদ্রাসার এতিম মিসকিনদের নামে চাঁদা এনে নিজের ঘর বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে। এসব অবৈধ কর্মকান্ড শাহপরীরদ্বীপের মানুষ ভাল ভাবে জানে। আসুন আমরা এসব কলিমদের ঘৃণা করি।
টেকনাফে ৭০ বৎসরের বৃদ্ধের সাথে ষোড়শীর বিয়ে
টেকনাফ প্রতিনিধি
টেকনাফে ৭০ বৎসরের এক বৃদ্ধের সাথে ১৮ বৎসরের এক রমনীর বিয়ের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়-টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রি পাড়ার হাজী হাকিম আলী খলিফার ছেলে মৌলভী কলিম উল্লাহর সাথে মিয়ানমারের মংডু শহরের নুরুল্লাহ পাড়ার হাফেজ ওসমানের মেয়ে আয়েশা বেগম প্রকাশ আশেক বানু (১৮) এর সাথে কয়েক বছর পূর্বে বিয়ে সম্পন্ন হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের বিষয়টি গোপন থাকলেও আদম পাচারকারী সিন্ডিকেট প্রধান ও রোহিঙ্গা মদদ দাতার তালিকায় কলিম উল্লাহর নাম প্রকাশিত হওয়ার পর তার অপরাধমূলক বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড বের হতে শুরু হয়।
সম্প্রতি শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে মিয়ানমারের নুরুল্লাহ পাড়ার হাফেজ ওসমানের মেয়ে ও মালয়েশিয়া প্রবাসী মমতাজমিয়ার স্ত্রী আশেকবানুকে মালয়েশিয়া স্বামীর কাছে আনার জন্য ২লাখ টকা কন্ট্রাকে কলিম উল্লাহকে দালাল হিসেবে কাজ দেন। কন্ট্রাকমত মমতাজমিয়া স্ত্রী আশেকবানুকে শাহপরীরদ্বীপের মৌ.কলিম উল্লাহর সাথে দেখা করতে বলেন। কলিম উল্লাহ এই সুযোগে মমতাজমিয়ার স্ত্রীর সাথে পরকিয়া প্রেমে পড়ে মোবারক নামের ১ সন্তানসহ বিয়ে করে গুপনে সংসার চালিয়ে যায় ।
স্বামী মমতাজ মিয়া নিজ স্ত্রী ও কলিজার টুকরো সন্তানকে কাছে পেতে কলিম উল্লাহকে দালাল হিসেবে কাজ দিয়ে প্রায় ২লাখ টাকা সহ স্ত্রী ও সন্তান হারান। অবৈধ বিয়ের পরে তারা কক্সবাজার সৈকতে অনেক অশ্লীল ছবি তুলে। যা কলিম উল্লাহর নিজস্ব এ্যালবাম থেকে এসব ছবি পাওয়া যায়। বিয়ের পর সে রোহিঙ্গা যুবতির নাম বদল করে আশেক বানু থেকে আয়েশা খাতুন হিসেবে সকল কর্ম সম্পাদন করে। অবৈধ রোহিঙ্গাকে বৈধ সার্টিফিকেট প্রদান করে কাবিন নামা ও ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন ।
ওই সব কাগজ পত্র অনুসন্ধান করে দেখা যায়- আমিরাবাদ তেন্ডলপাড়ার বাসিন্দা রশিদ আহমদ সম্পর্কে কলিম উল্লাহর আপন চাচা। রশিদ আহমদকে কথিত স্ত্রী আয়েশার পিতা দেখিয়ে প্রতারনা পূবর্ক কাবিন নামা ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড করে। মোটা টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম থেকে শাহাজাহানের ভাড়াঘর ,ছধু চৌধূরী রোড, দক্ষিন কাট্টলী, কাষ্টম একাডেমী,৪২১৯ পাহাড় তলী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এই ঠিকানায় পাশপোর্ট ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড করে নেন। যার আইডি নং-১৫৯৫৫১১৬৬৬৪৭০। এখবর জানাজানি হলে উক্ত কলিম উল্লাহকে নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শাহপরীরদ্বীপে একটি শালীশি বৈঠকে বসে। বিচারক মন্ডলী মৌ.কলিম উল্লাহকে অন্যের স্ত্রী বিনা বিচ্ছেদে কিভাবে বিয়ে করলে জানতে চাইলে কলিম উল্লাহ উপস্থিত সবার সামনে ঐ মহিলাকে বিয়ে করেনি বলে জানান। বিচারক মৌ.মোহাম্মদ হাসানসহ সবার সামনে কলিম উল্লাহ আরো স্পষ্ট ভাবে বলেন-আশেকবানুকে আমি বিবাহ করিনি ‘আগামীতে যতবার বিয়ে করব ততবার ৩ তালাক’ হবে বলে কাগজ পত্র সম্পাদন করে। তার শপথ ও তালাকের ভিত্তিতে শাহপরীরদ্বীপ বড়মাদ্রাসার মুফতি ও মুহতামিম সাহেব আগামীতে কোন দিন কলিম উল্লাহ ও আয়েশা খাতুনের মধ্যে সংসার করা জায়েজ হবেনা, করলে সম্পূর্ণ হারাম হবে মর্মে একটি ফতোয়ানামা সম্পাদন করে মাদ্রাসার সীলসহ স্বাক্ষর করে বিচার শেষ করে। (এ ফতোয়ার কপি সংরক্ষন আছে) বিচ্ছেদ হিসেবে শাহপরীরদ্বীপ বড় মাদ্রাসার পরিচালক মাও.হোসাইন আহমদের হাত থেকে ঐ মহিলা ভরণ-পোষনের খোরাকীর টাকা নেন। এর পর থেকে এলাকার সবাই জানে কলিম উল্লাহ আর অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত নেই। এত কিছুর পরও উক্ত লম্পট ক.উল্লাহ রোহিঙ্গা যুবতির সাথে গোপনে অবৈধ সংসার করে জারজ সন্তানের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। মাওলানা ছদ্দবেশী কলিম উল্লাহ ইসলামী শরীআহকে বৃদ্ধাঙ্গুুলী দেখিয়ে জেনা ব্যাবিচারে লিপ্ত থাকায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কলিম উল্লাহ পরহেজগারের লেবাস পরে এলাকার আলেমদের সম্মান ক্ষুন্ন করছে বলে জানান অনেকে। তার ইমামতিতে এলাকার কেউ নামাজ পড়েনা বলে জানা যায়।
কলিমুল্লাহর ১ম স্ত্রী নুর হাওয়া বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীকে অবৈধ সংসার ত্যাগ করে শরীয় মোতাবেক অন্য একটি বিয়ে করতে বার বার পায়ে পড়ে অনুরোধ করেছি এবং স্থানীয় আলেমদেরকেও অবহিত করেছি । তারপর ও সে না বুঝে অনৈতিক ও শরীয়া পরিপন্থি কাজে লিপ্ত রয়েছেন। আমি প্রতিবাদ করায় অবশেষে আমার ৩৫ বৎসরের সংসার ১০ সন্তানসহ ভেঙ্গে তছনছ করে ঐ অবৈধ মহিলাকে নিয়ে সংসার করছে। তাকে একটি জঘন্য হারাম কাজে এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ রোহিঙ্গা মহিলার আইডি কার্ড বাতিলসহ যে কোন কৌশল অবলম্বন করে যাতে তিনি বিদেশ পালিয়ে যেথে না পরেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পূর্ণ আস্থার সাথে মানবিক ও আইনি সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
এসব কলিমদের কারনে এরকম অজস্র ঘটনা প্রতি মূহুর্তে ঘটছে আমাদের সমাজে। নিরবে নিবৃতে কাঁদছে কত মা বোন। সংসারহারা হয়ে ভূলুন্ঠিত হচ্ছে হাজারো মা বোনের ইজ্জত। এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান, মৌলভী কলিম উল্লাহ আদমপাচারের সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করে বলেন, ২য় স্ত্রী মিয়ানমার নাগরিক কিনা আমার জানা নেই, তবে বড় স্ত্রীর ভাই হাবিব জোর করে তালাক নিয়েছিলেন বলে শুনে ছিলাম।###
এ লোকটিকে নিয়ে আগের সংবাদ গুলো মিথ্যা মনে হত। আসলে এ মানুষটি বড় লম্পট।এসব বুড়ো বতমাসদের শাস্তি দিতে হবে। আমি তোমাকে যে খানে পাই সে খানেই দেখে নেব। তোমার মত ছদ্দবেশী বিয়াদবকে জুতা পেটা করে¤সম্মানিত করতে হবে। নইলেআরো কত মা বোনের ইজ্জত নষ্ট হবে প্রভু ভাল জানে।
নুর হাকিম আনোয়ার ,টেকনাফ:
টেকনাফে ৭০ বৎসরের এক বৃদ্ধের সাথে ১৮ বৎসরের এক রমনীর বিয়ের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রি পাড়ার হাজী হাকিম আলী খলিফার ছেলে মৌলভী কলিম উল্লাহর সাথে মিয়ানমারের মংডু শহরের নুরুল্লাহ পাড়ার হাফেজ ওসমানের মেয়ে আয়েশা বেগম প্রকাশ আশেক বানু (১৮) এর সাথে কয়েক বছর পূর্বে বিয়ে সম্পন্ন হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের বিষয়টি গোপন থাকলেও আদম পাচারকারী সিন্ডিকেট প্রধান ও রোহিঙ্গা মদদ দাতার তালিকায় কলিম উল্লাহর নাম প্রকাশিত হওয়ার পর তার অপরাধমূলক বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড বের হতে শুরু হয়।
সম্প্রতি শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে মিয়ানমারের নুরুল্লাহ পাড়ার হাফেজ ওসমানের মেয়ে ও মালয়েশিয়া প্রবাসী মমতাজমিয়ার স্ত্রী আশেকবানুকে মালয়েশিয়া স্বামীর কাছে আনার জন্য ২লাখ টাকা কন্ট্রাকে কলিম উল্লাহকে দালাল হিসেবে কাজ দেন। কন্ট্রাকমত মমতাজমিয়া স্ত্রী আশেকবানুকে শাহপরীরদ্বীপের মৌ.কলিম উল্লাহর সাথে দেখা করতে বলেন। কলিম উল্লাহ এই সুযোগে মমতাজমিয়ার স্ত্রীর সাথে পরকিয়া প্রেমে পড়ে মোবারক নামের ১ সন্তানসহ বিয়ে করে গোপনে সংসার চালিয়ে যায় ।
স্বামী মমতাজ মিয়া নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে কাছে পেতে কলিম উল্লাহকে দালাল হিসেবে কাজ দিয়ে প্রায় ২লাখ টাকা সহ স্ত্রী ও সন্তান হারান। অবৈধ বিয়ের পরে তারা কক্সবাজার সৈকতে যে সব অশ্লীল ছবি তুলে তা দেখলে যে কোন পাঠককে ভাবিয়ে তুলবে। যা কলিম উল্লাহর নিজস্ব এ্যালবাম থেকে এসব ছবি পাওয়া যায়। বিয়ের পর সে রোহিঙ্গা যুবতির নাম বদল করে আশেক বানু থেকে আয়েশা খাতুন হিসেবে সকল কর্ম সম্পাদন করে। অবৈধ রোহিঙ্গাকে বৈধ সার্টিফিকেট প্রদান করে কাবিন নামা ও ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন ।
ওই সব কাগজ পত্র অনুসন্ধান করে দেখা যায়- আমিরাবাদ তেন্ডলপাড়ার বাসিন্দা রশিদ আহমদ সম্পর্কে কলিম উল্লাহর আপন চাচা। রশিদ আহমদকে কথিত স্ত্রী আয়েশার পিতা দেখিয়ে প্রতারনা পূবর্ক কাবিন নামা ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড করে। মোটা টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম থেকে শাহাজাহানের ভাড়াঘর ,ছধু চৌধূরী রোড, দক্ষিন কাট্টলী, কাষ্টম একাডেমী,৪২১৯ পাহাড় তলী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এই ঠিকানায় পাশপোর্ট ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড করে নেন। যার আইডি নং-১৫৯৫৫১১৬৬৬৪৭০। এখবর জানাজানি হলে উক্ত কলিম উল্লাহকে নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শাহপরীরদ্বীপে একটি শালীশি বৈঠকে বসে। বিচারক মন্ডলী মৌ.কলিম উল্লাহকে অন্যের স্ত্রী বিনা বিচ্ছেদে কিভাবে বিয়ে করলে জানতে চাইলে কলিম উল্লাহ উপস্থিত সবার সামনে ঐ মহিলাকে বিয়ে করেনি বলে জানান। বিচারক মৌ.মোহাম্মদ হাসানসহ সবার সামনে কলিম উল্লাহ আরো স্পষ্ট ভাবে বলেন-আশেকবানুকে আমি বিবাহ করিনি ‘আগামীতে যতবার বিয়ে করব ততবার ৩ তালাক’ হবে বলে কাগজ পত্র সম্পাদন করে। তার শপথ ও তালাকের ভিত্তিতে শাহপরীরদ্বীপ বড়মাদ্রাসার মুফতি ও মুহতামিম সাহেব আগামীতে কোন দিন কলিম উল্লাহ ও আয়েশা খাতুনের মধ্যে সংসার করা জায়েজ হবেনা, করলে সম্পূর্ণ হারাম হবে মর্মে একটি ফতোয়ানামা সম্পাদন করে মাদ্রাসার সীলসহ স্বাক্ষর করে বিচার শেষ করে। (এ ফতোয়ার কপি সংরক্ষন আছে) বিচ্ছেদ হিসেবে শাহপরীরদ্বীপ বড় মাদ্রাসার পরিচালক মাও.হোসাইন আহমদের হাত থেকে ঐ মহিলা ভরণ-পোষনের খোরাকীর টাকা নেন। এর পর থেকে এলাকার সবাই জানে কলিম উল্লাহ আর অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত নেই। এত কিছুর পরও উক্ত লম্পট ক.উল্লাহ রোহিঙ্গা যুবতির সাথে গোপনে অবৈধ সংসার করে জারজ সন্তানের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। মাওলানা ছদ্দবেশী কলিম উল্লাহ ইসলামী শরীআহকে বৃদ্ধাঙ্গুুলী দেখিয়ে জেনা ব্যাবিচারে লিপ্ত থাকায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কলিম উল্লাহ পরহেজগারের লেবাস পরে এলাকার আলেমদের সম্মান ক্ষুন্ন করছে বলে জানান অনেকে। তার ইমামতিতে এলাকার কেউ নামাজ পড়েনা বলে জানা যায়।
কলিমুল্লাহর ১ম স্ত্রী নুর হাওয়া বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীকে অবৈধ সংসার ত্যাগ করে শরীয় মোতাবেক অন্য একটি বিয়ে করতে বার বার পায়ে পড়ে অনুরোধ করেছি এবং স্থানীয় আলেমদেরকেও অবহিত করেছি । তারপর ও সে না বুঝে অনৈতিক ও শরীয়া পরিপন্থি কাজে লিপ্ত রয়েছেন। আমি প্রতিবাদ করায় অবশেষে আমার ৩৫ বৎসরের সংসার ১০ সন্তানসহ ভেঙ্গে তছনছ করে ঐ অবৈধ মহিলাকে নিয়ে সংসার করছে। তাকে একটি জঘন্য হারাম কাজে এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ রোহিঙ্গা মহিলার আইডি কার্ড বাতিলসহ যে কোন কৌশল অবলম্বন করে যাতে তিনি বিদেশ পালিয়ে যেথে না পরেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পূর্ণ আস্থার সাথে মানবিক ও আইনি সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
এসব কলিমদের কারনে এরকম অজস্র ঘটনা প্রতি মূহুর্তে ঘটছে আমাদের সমাজে। নিরবে নিবৃতে কাঁদছে কত মা বোন। সংসারহারা হয়ে ভূলুন্ঠিত হচ্ছে হাজারো মা বোনের ইজ্জত। এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান, মৌলভী কলিম উল্লাহ আদমপাচারের সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করে বলেন, ২য় স্ত্রী মিয়ানমার নাগরিক কিনা আমার জানা নেই, তবে বড় স্ত্রীর ভাই হাবিব জোর করে তালাক নিয়েছিলেন বলে শুনে ছিলাম।
হায়রে মানুষ!!!!