রমজান উদ্দিন পটল…টেকনাফের লেদায় বিবাদমান দু‘গ্র“পের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বিজিবি সৈনিকদের সামনেই প্রতিপক্ষ গ্র“প স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যের স্বামী বিএনপি নেতা আবছার কামালকে পিঠিয়ে মারাত্বক জখম করে। তবে বিজিবির প্রচেষ্টা ও সহযোগীতায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও তার অবস্থা আশংকা জনক। ঘটনায় বিজিবির প্রহারে এক সাবেক ইউপি সদস্য আহত হয় বলেও জানাগেছে। এ নিয়ে থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় র্যাব-পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়-১সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টারদিকে টেকনাফের হ্নীলা ষ্টেশন হতে দক্ষিণ শাখা বিএনপির আহবায়ক জুহুর আলম চৌধুরী,যুগ্ন আহবায়ক ও ৭, ৮ ও ৯নং ওর্য়াড মহিলা মেম্বারের স্বামী এবং লেদার বিবাদমান এক গ্র“পের নেতা আবছার কামাল মোটর সাইকেল নিয়ে ফিরছিল । তাদের সাথে অপর একটি গাড়ী নিয়ে বিবাদমান অপর প্রতিপক্ষের সদস্য এবং মৃত আবুল কাশেমের পুত্র ও যুবলীগ কর্মী নুর মোহাম্মদও একটি মোটর সাইকেল নিয়ে যাচিছল। নুর মোহাম্মদ দাবী করছে গাড়ী চলন্ত অবস্থায় তার মৃত পিতার নাম ধরে আবছার কামাল তাকে গালি-গালাজ করেছে। এতে সে ক্ষুদ্ধ হয়ে আগাইয়া আসলে আবছার কামাল ভয়ে মোটর সাইকেল থেকে নেমে পাশ্ববর্তী আনসার হোসেনের বাড়ীতে আশ্রয় নেয় । এসময় নুর মোহাম্মদ গ্র“প আবছার কামালের উপর হামলা চালালে টহল করে ফেরার সময় লেদা বিজিবি টহল দলের সামনে পড়লে নুর মোহাম্মদ গংকে ধাওয়া করে আবছার কামালকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এ সময় সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলাম সামান্য আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে গুরুতর আহত আবছার কামালকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশী প্রহারায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আবছার কামাল পক্ষের জাফর আলম মেম্বার জানান- হ্নীলা থেকে ফেরার পথে নুর মোহাম্মদ গং আবছার কামালের গতিরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে মারাতœক আহত করে। উল্লেখ্য তাদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১৯৮০ সাল হতে সময়-সুযোগ বুঝে হামলা ও হত্যা কান্ডের ঘটনা পর্যন্ত ঘটে আসছিল।
Leave a Reply