হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফঃ
৮ শতাধিক শিক্ষার্থী মাঠে পরিক্ষা দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী ও অন্যরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে টেকনাফের লেঙ্গুরবিল জামেয়া এমদাদিয়া বড় মাদ্রাসা। আর হাজার হাজার পথচারী এবং উৎসুক জনতা ব্যতিক্রমধর্মী দ্বীনি শিক্ষা অবলোকন করেছে। টেকনাফের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্থাপিত ১৯৫২ ইংরেজী) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের জামেয়া এমদাদিয়া লেঙ্গুরবিল বড় মাদ্রাসা। ২৩ ডিসেম্বর রবিবার থেকে এই মাদ্রাসায় শুরু হয়েছে শুরু হয়েছে নুরানী বিভাগের পরীক্ষা। খবর পেয়ে এপ্রতিবেদক সরেজমিন মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়- প্রায় এক এক আয়তণের মাদ্রাসা মাঠে শত শত শিশু শিক্ষার্থীরা পরিক্ষা দিচ্ছে। আর শিক্ষকগণ তদারক করছেন। নুরানী বিভাগের প্রধান মাওঃ মুহাম্মদ ওসমান হাসান জানান- শিশু শ্রেনীতে ২২২ জন, ১ম শ্রেণীতে ২৩২ জন, ২য় শ্রেনীতে ১৬২, ৩য় শ্রেণীতে ১১৮ জন এবং ৪র্থ শ্রেনীতে ৮২ জন মোট ৮১৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। একাধিক বিভাগ ও শিফ্ট চালু করে কোন রকম ক্লাশ নেয়া হলেও শিক্ষার্থী বেশী হওয়ায় পরিক্ষা নিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই নিরুপায় হয়ে স্থানাভাবে মাঠে উম্মুক্ত স্থানে পরিক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান- এছাড়া অন্য কোন উপায়ও ছিলনা। তিনি জানান- প্রত্যেক বছরই প্রতি শ্রেনীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় আর্থিক অভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। স্থানীয় অভিভাবকগণ জানান- এই মাদ্রাসার লেখাপড়ার মান ভাল বিধায় তাদের সন্তানদের এ মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়। মাদ্রাসার পরিচালক (মুহতমিম) আলহাজ্ব মাওঃ আব্দুল কাদের ও সহকারী পরিচালক (নায়েবে মুহতমিম) আলহাজ্ব মাওঃ ছঈদ আকবর জানান- ১৯৫২ইংরেজী সনে এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে বর্তমানে হেফজ বিভাগ, নূরানী বিভাগসহ জমাতে পঞ্জুম (৭ম) পর্যন্ত চালু রয়েছে। দেশ- বিদেশের অসংখ্য শুভাকাংখীদের দোওয়া ও দানে পরিচালিত এই মাদ্রাসায় বর্তমানে আর্থিক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রম বর্ধমান এবং ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অবকাঠামো উন্নয়ন তথা গৃহত নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁরা এব্যাপারে জনপ্রতিনিধি, এলাকার ও দেশ- বিদেশে অবস্থানরত দানশীল এবং শুভানুধ্যায়ীদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নূরানী বিভাগের প্রধান মাওঃ ওসমান হাসানের তত্বাবধানে বর্তমানে নূরানী বিভাগে মাওঃ ওসমান গণি, মাওঃ জুনাইদুল ইসলাম, মাওঃ রফিকুল ইসলাম, মাওঃ জালাল উদ্দিন, মাওঃ মিজানুর রহমান, মাওঃ মাহফুজুর রহমান, মাওঃ কপিল উদ্দীন, মাওঃ ওসমান কবিরসহ মোট ৯ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।