হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফঃ টেকনাফের উনছিপ্রাং মুহিউচ্চুন্নাহ মাদ্রাসা জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার শ্রেনী কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে এলাকার চিহ্নিত দুবৃত্তরা। সু-বিশাল এ ধর্মীয় প্রতিষ্টানে তালা ঝুলানোর ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। গত ৫ নভেম্বর ঘটেছে এঘটনা। দেশের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করতে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যক্তিবর্গ উক্ত এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার শিক্ষানূরাগী ও প্রবীন মুরব্বী মাওলানা আব্দুল মান্নান। তিনি এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানান। জানা যায়,হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং নামক গ্রামের পশ্চিম পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি খরিদ করে ১৯৯৭ সালে হ্নীলা সিকদার পাড়ার বাসিন্দা মাওলানা দ্বীন মুহাম্মদ বাংলাদেশ কাওমী মাদ্রাসা বোর্ডের সিলেবাস ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করে।“ বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মাদারিস” তথা কাওমী মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় সভাপতি,সম্পাদকের অনুমোদিত একটি কমিঠি উক্ত মাদ্রাসায় বিদ্যমান রয়েছে। সুষ্ট ভাবে দীর্ঘ দিন মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে আসলেও এলাকার চেয়ার ও ক্ষমতা লোভি এক শ্রেনীর অসাধু চক্র মাদ্রাসাটি বন্ধ ও জবর দখল করে তাদের আধিপত্য বিস্তারে নানা ষড়যন্ত্র, অপ-প্রচার শুরু করে। পবিত্র ঈদুল আজহার বন্ধের সুযোগে স্থানিয় বিতর্কিত ও জমিদার হাবভাবের এক ব্যক্তি সরকারী দলের এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানিয় সমাজের কয়েকজন কে বৈঠকে ডেকে এনে স্বাক্ষর নিয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে বোর্ডের স্বীকৃতি প্রাপ্ত একটি বৈধ কমিটিকে পাশ কাঠিয়ে রাতারাতি কুরবানীর চামড়া হজম ও মাদ্রাসা জবর দখল করতে একটি পকেট কমিটি গঠন করে।উক্ত পকেট কমিটি মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক প্রবীন আলেম মাওঃ দ্বীন মুহাম্মদকে বরখাস্ত করে উখিয়া গয়ালমারা হাফেজ খানার আব্দুল মালেক নামক এক শিক্ষককে পরিচালক নিয়োগ দেয়। তা নিয়ে শুরু হয় সমাজে নানা বিশৃংখলা। মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের জানান, ওই দিন মাদ্রাসার বিভিন্ন আসবাব পত্র লুটপাট করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। বৈধ কমিটির অন্যতম সদস্য আবুল কালাম জানান, উক্ত আব্দুল মালেকের মুহতামিম হওয়ার যোগ্যতা নেই। সমাজের লোকজন তাকে মেনে নিবেনা।এদিকে মাদ্রাসায় লুটপাট ও শ্রেনী কক্ষে তালা দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
Leave a Reply