এটিএন ফয়সাল, টেকনাফ: টেকনাফের শতাধিক গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বাতন্ত্র সরকারী এবতেদায়ী মাদ্রাসা নেই। কোমল মতি শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষার পাশা পাশি ধর্মীয় শিক্ষা থেকে ও বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। সারাদেশের মধ্যে শিক্ষার হার সর্বনিম্ন হচ্ছে সীমান্ত উপজেলা শহর টেকনাফ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার টেকনফের প্রায় ৮০ টির বেশী গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পাশা পাশি তারা কয়েকটি মাদ্রাসা কেন্দ্রিক ব্যতিত টেকনাফ উপজেলার কোন জনবহুল গ্রামেও স্বাতন্ত্র সরকারী এবতেদায়ী মাদ্রাসা নাথাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন। ফলে এ অঞ্চলের হাজার হাজার কোমল মতি শিশুরা একদিকে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা তথা ইসলাম ধর্মীয় মূল বিষয় বস্তু শিক্ষা থেকে বিমুখ হচ্ছে বলে ও অভিযোগ এই এলাকার সচেতন অভিভাবক মহলের। কথায় আছে টেকনাফ উপজেলাটি আরকান অধ্যূষিত এলাকা তার মধ্যে এই এলাকার মানুষ অত্যাধিক ধর্মভীরু এই কথাটি আস্তে আস্তে লোপ পেতে চলেছে। কারণ হিসেবে জানাযায়- এই এলাকায় কিছু মাদ্রাসা কেন্দ্রিকব্যতিত ও কিছু বেসরকারী কওমী লাইনের ছাড়া কোন গ্রাম এলাকায় সরকারী ভাবে স্বাতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা নেই। সরকার সার্বজনীন ভাবে সাধারনত প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করলেও ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি কোন বাধ্য বাদকতা না থাকায় কোমল মতি শিক্ষার্থীদের পাশা পাশি ৫০/৬০ উর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদের ও ধর্মীয় কোন রীতি-নীতি আচার আচরণ সম্পর্কে সম্মুখ ধারনা নেই। ফলে তারা শিক্ষার অভাবে দৈনন্দিন জীবনের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্বকে তেমন মূল্যায়ন করছেনা। বর্তমান প্রজম্ম ও আগামী প্রজম্মের কোমল মতি শিশুদের কে নৈতিকতা সম্পন্ন বোধ করে গড়ে তুলতে হলে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতা মূলক করার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার প্রতিও ব্যাপক গুরুত্ব দিতে হবে বলে অভিঞ্জ মহল মনে করেছেন। স্বাধীনতার ৩৮ বছর পার হলেও সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের ৮০টির ও বেশী গ্রামে সরকারী প্রাইমারী স্কুল ও স্বাতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা চালু হয়নি। এতে একদিকে হাজার হাজার কোমলমতি শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে দিন দিন শিশু শ্রম বৃদ্ধির পাশা পাশি শিশু সংগঠিত অপরাধ প্রবনতা বাড়ছে। তথ্যানুসন্ধ্যানে জানাযায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তুলাতলী, খারাইংগা ঘোনা, উত্তর নয়া পাড়া, আম তলী, বালু খালী, কম্বনিয়া পাড়া, হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যা ঘোনা, হোয়াকব্রাং, লেচুয়া প্রাং, আলী খালী, মোচনী, জুম্মাপাড়া, দমদমিয়া, সদর ইউনিয়নের খানকার ডেইল, গোদার বিল, ডেইল পাড়া, কচুবনিয়া, তুলাতলী, কেরুনতলী, মৌলভী পাড়া, হাঙ্গর ডেইল, শীলবনিয়াড়া, হাতিয়ার ঘোনা, সাবরাং ইউনিয়নের ডেইল পাড়া, আছার বনিয়া, দক্ষিণ পাড়া, কুয়াইংছড়ি পাড়া, হারিয়া খালী, গুচ্ছগ্রাম, মন্ডল পাড়া, আশ্রয়ণ, করাচি পাড়া, পানছড়ি পাড়া, বাহার ছাড়া ইউনিয়নের বাজার পাড়া, জুমপাড়া, দক্ষিণ শীল খালী, উত্তর কূল, উত্তর নোয়া খালীয়া পাড়া, হল বুনিয়া, মারিশ বুনিয়া, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া, পশ্চিম পাড়া, সহ আরও অসংখ্য গ্রাম। সংশি¬ষ্ট আরও জানা যায়- টেকনাফ উপজেলায় ৩৪টি সরকারী, ১৮টি রেজিষ্ট্রাড, ৭টি কেজি স্কুল রয়েছে। তবে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার কোন হদিস নেই। এসব স্কুলে ২০০৮ সালে ক্যালেন্ডার বর্ষের জরিপ মতে প্রথম শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত পুরো উপজেলার স্কুল গুলোতে সর্ব মোট ২১ হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত ছিল।
Leave a Reply