কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া। ….কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সর্বত্রে ব্যাঙের ছাতার গজিয়ে উঠা ফার্মেসীগুলোর বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। উপরন্তু এসব ফার্মেসীগুলোতে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ। আবার এসব ওষুধ সেবন করে প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে কুতুপালং রোহিঙ্গা অধ্যূষিত বাজারে প্রায় অর্ধ-শতাধিক অবৈধ লাইসেন্স বিহীন এক শ্রেণীর অসাধু গ্রাম্য ডাক্তার এসব ফার্মেসী ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি কুতুপালং বাজারে রোহিঙ্গারাও ফার্মেসী খুলে ওষুধ বেচা-বিক্রি করে যাচ্ছে। তাদের নেই কোন প্রশিক্ষণ কিংবা নেই কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা। তারপরও তাদের অবৈধ উপায়ে অর্থ উর্পাজন থেমে থাকেনি। কুতুপালং বাজারে ছমি উদ্দিন মার্কেটের খুরশেদ আলমের মনজুর ফার্মেসী, জাফর আলমের বিশ্বজিত ফার্মেসী, নুরুল আমিনের বিউটি ফার্মেসী রোহিঙ্গা জয়নালের ফার্মেসীগুলো থেকে প্রতিনিয়ত এলাকার নিরীহ গ্রামবাসীও রোহিঙ্গারা ওষুধ ক্রয় করে প্রতারনার শিকার হওয়ার একাধিক অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীরা। শুধু তাই নয়, এসব ফার্মেসীগুলোর বৈধ কাগজপত্র না থাকার পরও প্রকাশ্যে-দিবালোকে তারা কিভাবে এ ব্যবসা চালাচ্ছে তা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলছে। জানা গেছে, কুতুপালং বাজারে রোহিঙ্গা জয়নালের ফার্মেসী থেকে প্রতি রাতে মিয়ানমারের একটি ওষুধ পাচারকারী সিন্ডিকেটের নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কালো বাজারিদের হাতে এসব ওষুধ তুলে দিচ্ছে। কথিত জয়নালের রয়েছে দুই স্ত্রী। তাদের একজন গ্রামী ও অন্যজন রোহিঙ্গা। সু-চতুর রোহিঙ্গা ক্যাডার জয়নাল ফার্মেসী ব্যবসার আড়ালে একদিকে বাংলাদেশের ভোটার অন্যদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা তার এই দ্বৈত নাগরিকত্ব দাবী করে বেপরোয়া ভাবে কতটুকু এছাড়াও নুরুল আমিনের বিউটি ফার্মেসী অন্যতম। এই ফার্মেসীর লোকজন থেকে ওষুধ কোম্পানীর এমআরদের মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসী ও রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের এমআরসি নং-১৭১৫২, জয়নালের এমআরসি-১৬০৩২ (টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা)। এছাড়া জয়নালের স্ত্রীর এমআরসি- ১৬৩৩২। উক্ত জয়নাল রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন এর সক্রিয় সদস্য বলে ক্যাম্প সুত্রে জানা গেছে। রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন বিদেশী অর্থায়নের নামে তাদেরকে জড়ো করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা ও নাশকতা চালানোর জন্য স্থানীয় একটি উগ্র মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক চক্রের সাথে গভীরভাবে সখ্যতা গড়ে তুলে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে উঁসকানি দেওয়ার মত জঘন্য ঘটনায় জড়িত রয়েছে উক্ত রোহিঙ্গা জয়নাল ও তার সহযোগী নুরুল আমিন। এছাড়াও মনজুর ফার্মেসীতে খুরশেদ আলম নামের এক যুবক ইতিপূর্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করলে রোগী ওষুধ খাওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে পরিবারের লোকজন পরদিন তাকে দোকানে ঘেরাও করে উত্তম মাধ্যম দেয়। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারী অনুমতি বিহীন অবৈধ ফার্মেসী গজিয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। এব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্ঠা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কায়সার হামিদ মানিক
উখিয়া,কক্সবাজার
০১৮১৩-০১৯৮৩২