নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ ***
টেকনাফের হ্নীলা দক্ষিণ জাদীমুরা আদম ঘাট দিয়ে অবৈধ ভাবে দেশে আসছে বর্মী নাগরিক ও
মরণ নেশা ইয়াবা সহ বিদেশী মাদক দ্রব্য। এতদ সংক্রান্ত তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশের পরও এখনো
আদম ঘাট বহাল থাকায় সাধারণ মানুষের মনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বলতে শুরু
করেছে এদের বিরুদ্ধে লিখলে কিছু হবে না। কারণ বিজিবি, পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনের
সকল স্তরে তাদের কানেকশন খুব ভাল। আবার অনেকে বলছেন “এত পিয়ুর সংবাদ লেখার পরও যদি কোন
প্রকার আইনি পদক্ষেপ না হয় তাহলে সত্য লেখার কোন মূল্য থাকবেনা” পাশাপাশি সত্য
ানুসন্ধানীরা আর কখনো কলম ধরার সাহসিকতা দেখাবেনা। যেখানে কাল টাকার কাছে সীমান্তের
কলম সৈনিকদের কলম পরাজিত সেখানে অপশক্তির ধারক বাহকরা স্বভাবত বুক চেতিয়ে বীরদর্পে ে
রাহিঙ্গা ও মাদক অনুপ্রবেশে আরো মাথাছাড়া দিয়ে উঠবে। এখনোও আদমঘাট দিয়ে নিয়মিত
আসছে বর্মী নাগরিক, ইয়াবা, বিদেশী মদ, চোরাইকৃত গরু-ছাগল, চামড়া, অস্ত্র, এস্ক্রাপ
সহ বিভিন্ন প্রকার মাদক। বিনিময়ে পাচার হ”েছ জ্বালানী তেল, সার, মোটর সাইকেল, ে
মশিনারী পার্টস, সিমেন্ট, সুখি ভরি, ডিপো ইনজেকশন, মেডিসিন, এ্যালমুনিয়াম, কস
মেটিকস, মোবাইল সেট, সিম, ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার বান্ডিল সহ নানান ধরণের পণ্য।
জানাযায়, দক্ষিণ জাদিমুরা প্রাইমারাী স্কুলের সোজা পুর্ব দিক দিয়ে জাদীমুরা টু বার্মার
পেরাংপুর ঘাট বিনিময়ে জড়িত স্থানীয় গোলাম বাছরের পুত্র পাচারকারী চক্রের গড ফাদার আব্দুল
আমিন, সোনালীর পুত্র নুরুল কবির, মোশতাকের পুত্র জাফর ও জামাই বার্মায়া সলিম, মৃত ে
গালাম বাছেরের পুত্র নুর হাশিম গুন্ডাইয়্যা, মোশতাকের জামাই নুর মোহাম্মদ, কালা মিয়ার পুত্র নুর
মোহাম্মদ, বার্মায়া মুহাম্মদ উল্লাহ, আবুল হাশেম, লাল বুইজ্যার পুত্র মোহাম্মদ ছৈয়দ, মালে
য়শিয়ার দালাল বার্মাইয়া মৌলভী আব্দু ছালাম। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, এ
আদম ঘাট দিয়ে দেশে অনুপ্রবেশকালে ঘাট নিয়ন্ত্রন কারীরা প্রতি জনের কাছ থেকে ১হাজার
টাকা নিয়ে থাকে। আর এক্ষেত্রে মাথাগনা বিজিবিকে ২শ টাকা, থানাকে নির্দিষ্ট মাসোহারা
সহ বিভিন্ন সংস্থাকেও ম্যানেজ করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেমের মত জষন্য অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে
যা”েছ। এদিকে মিয়ানমারের সাথে ঘাট বিনিময় হওয়াতে জেলেদের নৌকা অনেক সময় চুরি
হওয়ার কথা স্থানীয়রা জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি অভিযোগ
করেন, এলাকার আইন শৃংঙলা উন্নতির স্বার্থে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, অপরাধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে
হলে এসব ঘাট একেবারে বন্ধ করতে হবে। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, দেশ ও দশের স্বার্থে
আদমঘাট নিয়ন্ত্রণে জড়িতদের বরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আদামঘাট নিয়ন্ত্রণে জড়িত
২/১ জনের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা এ প্রতিবেদককে নিজেদের জড়িত
থাকার কথা স্বীকার করে বলেন উপর-নীচে সব ম্যানেজ করা আছে, লিখলে কিছু হবে না। দমদমিয়া
বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার নুরুল আমিন জানান, আমার ক্যাম্পের আওতাধীন এলাকায়
আদমঘাট বলতে কিছু নেই। এখানে জনবল সংকটের কারণে সীমান্ত এলাকা হিসেবে বিজিবির ে
চাখে ধুলো দিয়ে চুরি-চামারি করে টুকটাক আদম অনুপ্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে যে বা যারা
একাজে জড়িত থাকবে তাদেরকে চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি রোহিঙ্গা ও মাদক
অনুপ্রবেশ রোধে স্থানীয় জনসাধারণকে এগিয়ে আসার কথা বলেন। ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে.ক
র্ণেল জাহিদ হাসান জানান, আদমঘাট নিয়ন্ত্রণে যারা জড়িত এবং যে সব বিজিবি সদস্য
এই কাজে সহযোগীতা করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ অভিযোগ ফেলে প্রমাণ সাপেক্ষ্যে শক্ত আইনানুগ
ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তিনি স্থানীয় জনসাধারণকে বিজিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইনফে
র্মর মাধ্যমে সহযোগীতায় এগিয়ে আসার কথা বলেন। হ্নীলার সর্বস্তরের জনসাধারণ জরুরী ভিত্তি
তে দক্ষিণ জাদীমুরার অবৈধ আদম ঘাট বন্ধের মাধ্যমে রোহিঙ্গা, মাদক অনুপ্রবেশ রোধ ও দেশীয়
মালামাল পাচাররোধে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##########