হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া (কক্সবাজার)কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৫ নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও পুলিশ আতংকে এলাকায় আসতে পারছেনা। গত বৃহস্পতিবার ২৪ জানুয়ারি এসব নেতাকর্মীরা উখিয়া ও টেকনাফের বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনায় জামিন পেয়েও আত্মগোপনে রয়েছে। এতে এ দু’উপজেলার বিএনপি ও জামায়াত রাজনীতিতে পুলিশি আতংকে স্থবিরতা বিরাজ করছে।উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য সুলতান আহাম্মদ, ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম সিকদার, কক্সবাজার জেলা জামায়াত নেতা ও টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহাম্মদ আনোয়ারী গত ২৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে বৌদ্ধ মন্দির হামলা ও লুটপাটের একটি মামলা থেকে জামিন পায়। ইতিপূর্বে উচ্চ আদালত থেকে বৌদ্ধ মন্দির ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটনার একটি মামলায় জামিনে পাওয়া উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এড. শাহ জালাল চৌধুরীকে সম্প্রতি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। গত ২০ জানুয়ারি কক্সবাজার নিম্ন আদালতে শাহ জালাল চৌধুরী অপর একটি বৌদ্ধ মন্দির হামলার মামলায় জামিন পেলেও পুলিশ তাকে অপর দুইটি মন্দির ভাংচুর মামলায় আটক দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। গত ২৩ জানুয়ারি কক্সবাজার নিম্ন আদালতে উপজেলা চেয়ারম্যানের অপর মামলার শুনানিকালে ম্যাজিষ্ট্রেট জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। একই আতংকে আতংকিত হয়ে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেপ্তারের ভয়ে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নেতা ও টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহাম্মদ আনোয়ারী, উখিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য সুলতান আহাম্মদ, ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম সিকদার উচ্চ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তি জামিন পাওয়ার পরও এলাকায় আসতে পারছেনা বলে উখিয়া বিএনপির অসুস্থ সভাপতি কাজী রফিক উদ্দিন জানান। তিনি অবশ্য তার সুস্থতা ও নির্যাতিত দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য এলাকাবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।
টেকনাফ উপজেলা জামায়াতের সভাপতি নুর হোসাইন সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নুর আহাম্মদ আনোয়ারীসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আত্মগোপনে থাকায় উল্লেখযোগ্য জামায়াতের কোন নেতার বক্তব্য মিলেনি। টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ বলেছেন, এ সরকার ও তার মন্ত্রী এমপিরা আইন আদালতের কোন তোয়াক্কা করে না। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আসার পরও স্থানীয় সাংসদের ফ্রাংষ্টাইন ষ্টাইলে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের রাজনীতিক মাঠ ছাড়া করে তার অপকর্ম ঢাকার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে বিএনপি ও জামায়াতের অসহায় নিরপরাধ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মূলক ভাবে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় আসামী করে এলাকা ছাড়া করেছে। নেতাকর্মীরা উচ্চ আদালতের জামিন নিয়েও পুলিশি হয়রানির ভয়ে এলাকায় আসতে পারছেনা। এসব বিষয়ের আলোকে ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের আত্মগোপনে থাকায় দলীয় কোন কর্মকান্ডে স্থবিরতা ও প্রায় অচল অবস্থার প্রেক্ষিতে বিএনপি জামায়াতের রাজনৈতিক ময়দানে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসছেনা।
হুমায়ুন কবির জুশান
উখিয়া, কক্সবাজার।
০১৮১৯-৫১৬০২০