আমাদের সময়….বড় মগবাজার জামায়াতে ইসলামী ও পুরানা পল্টন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মূলত এখন বন্ধ রয়েছে। জামায়াতের প্রধান কার্যালয়ে সিকিউরিটি গার্ড অফিস দেখাশুনা করছে। তবে পল্টনের অফিস তালামারা। গত দুইমাস যাবৎ কার্যালয় খোলা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।এছাড়াও ৫০৫, এলিফ্যান্ট রোড, বড় মগবাজার ওয়্যারলেস গেটে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন ৫০৪/১, আদ দাওয়াত ট্রাস্ট পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়ের পাশে জামায়াতের দলীয় বিক্রয় প্রকাশনী কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে এ প্রকাশনী বিক্রয় কেন্দ্রটি বন্ধ আছে। যার ফলে ওয়্যাররেস গেট বড় মগবাজার এলাকার আধুনিক প্রকাশনী, কল্যাণ প্রকাশনী, প্রফেসর’স পাবলিকেশন্স, শতাব্দী প্রকাশনী, প্রীতি প্রকাশনী, প্রত্যয় প্রকাশনী ও আহসান পাবলিকেশন্স এবং ৪৮/১-এ, পুরানা পল্টনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের অফিসের কাছাকাছি পাবলিকেশন্স ও তামান্না বুক কর্ণারের মতো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান জামায়াত-শিবিরের গঠনতন্ত্র, দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে একাধিক বই, ইসলামী চিন্তাবিদ আবু আলা মদুদীর বিভিন্ন ধরনের ইসলামী বইও বিক্রি করে থাকে।
গতকাল বড় মগবাজার ওয়্যারলেস গেট বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে জয়নুল আবেদীন নামে একজন সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে কথা হয়, তখন তার পাশে আরেকজন সিকিউরিটি গার্ডও ছিলেন। তিনি আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, প্রতিদিন তিন শিফটে আমরা ৬জন সিকিউরিটি গার্ড পালাক্রমে জামায়াত ইসলামেে দলীয় কার্যালয়ে ডিউটি করে থাকি। এই কার্যালয়ে দুবছর যাবৎ জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী কখনও আসেনা। মাস শেষে দু’একজন লোক এসে আমাদেরকে বেতন দিয়ে চলে যায়। আমরা প্রায় ৯/১০ বছর ধরে এখানে চাকরি করছি। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে এ কার্যালয়ের সামনে পুলিশ পাহারা থাকলেও এখন নেই। মাঝে মধ্যে সাংবাদিক ও বিভিন্ন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা খোঁজ নিতে এসে আমাদেরকে এখানে কেউ আসে কি না জিঞ্জাসাবাদ করে থাকে।
অন্যদিকে একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতে ইসলামী রাজধানী ঢাকার গোলাপবাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও , ওয়্যারলেস গেট চাষী কল্যাণ ট্রাস্ট ভবন, বড় মগবাজার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কার্যালয় ও ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কার্যালয় থেকে এবং ইসলামী ছাত্রশিবির পুরানা পল্টন এলাকার বায়তুল আবেদ বহুতল ভবন, নোয়াখালী টাওয়ার, পল্টন টাওয়ার, ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন বহুতল ভবন থেকে বিভিন্ন নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস নিয়ে ও বায়তুর মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্রমপুর হোটেলের দ্বিতীয় তলায় বসে পরিকল্পনার মাধ্যমে যৌথভাবে তাদের রাজনৈতিক, প্রকাশনা ও প্রচারের কর্যক্রম এবং দলের কর্মসূচি পরিচালনা করছে।