রমজান উদ্দীন পটল টেকনাফ… জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ও সীমান্ত দিয়ে মাদকসহ চোরাচালান এবং আদম পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ Ñমিয়ানমার সীমান্তের অবকাঠামোর দিক থেকে সুরক্ষা জোরদার করা উচিত। এ জন্য সরকার সীমান্তে বিধ্বস্থ বেড়িবাঁধ পূর্ণনির্মাণ ও কাটাঁতারের বেড়া দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিজিবি ইতিমধ্যেই একটি প্রস্তাব সংশ্লিস্ট মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদীর তীর ঘেষা দীর্ঘ ৫০কিঃমিঃ বেড়িবাঁধ জোয়ার ও প্রাকৃতিক দূযোর্গের প্রভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়টি কক্সবাজার -৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন। সরকারের সংশ্লিস্ট সংস্থা অগ্রধিকার ভিত্তিতে সে বাঁধ পূর্ণনিমার্ণের পরিকল্পনা করছে এবং আগামী ৩ মাসের মধ্যে সীমান্তের অবকাঠামোর দিক দিয়ে সুরক্ষার কাজ বাস্তবায়ন করতে প্রকিয়া হাতে নিয়েছে বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।
সীমান্তের কাটাঁতারের বেড়া না থাকায় এবং ভাঙ্গা বাঁধের সুবিধা নিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে থাকে। এ ছাড়া সীমান্ত দিয়ে বর্তমান সময়ে আলোচিত মাদক ইয়াবাসহ অবৈধ পন্য পাচার বেড়ে চলছে। এ অবস্থাতে বাধ সংস্কার হলে বিশাল উপকুলীয় এলাকা সুরক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি বিজিবি কোষ্টগার্ড সহযে সীমান্ত এলাকায় টহল দিতে পারবে। এতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ ও চোরাচালান কমে আসার পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা পাবে। সুত্র মতে- টেকনাফ উখিয়া নাইক্ষংছরি বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে আশংকা জনক হারে মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা)বাংলাদেশে প্রবেশ করাতে দেশের অর্থনীতি ও শ্রম বাজার দখল নিয়ে সরকার শংকায় পড়ে । এরই অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ করতে বাংলাদেশ সরকার অবশেষে সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ২০০ মাইল সীমান্ত এলাকা জুড়ে কাটাঁতারের বেড়া দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। এই নিয়ে মিয়ানমার সরকারকে চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি ও নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খালেকুজ্জামান পিএসসি জানান, বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার সীমান্ত এলাকাজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা দুদেশের সম্মতিতেই করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কাঁটাতারের বেড়া তৈরী হলে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ এবং ইয়াবাসহ মাদকসহ অবৈধ চোরচালান পাচার রোধ করা সম্ভব হবে। টেকনাফস্থ ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাহিদ হাসান জানান,টেকনাফ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে মন্ত্রালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অচিরেই দু-দেশের সূসম্পর্কের ভিত্তিতে অনুমোদন হলে শ্রীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র জানায়, গত জুন মাসে মুসলিম-রাখাইন দাঙ্গার পর থেকে মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে ছোট ছোট দলে। আন্তর্জতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় জানালেও বিপর্যয়ের আশংকায় বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের শরনার্থী হিসেবে আর আশ্রয় দিচ্ছে না।
এদিকে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে সহায়তা দিতে সীমান্তে পুলিশ ও আনসার পাঠানোর ভাবনা করছে সরকার। বৃহস্পতিবার ও গত রোববার এ বিষয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বৈঠকও হয়। সীমান্তে ৩ শতাধিক সশস্ত্র পুলিশ ও আনসার মোতায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথমে এ ধরনের সুপারিশ পর্যালোচনা করে পাঠানো হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে। অনুমোদন হলে বিজিবির সাথে তারা রোহিঙ্গা আটক ও পুশব্যাক অভিযান শুরু করবে । #########
Leave a Reply