আনোয়ার হোছাইন, (ঈদগাঁও) =সদ্য প্রকাশিত দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে সদর উপজেলার ১ম স্থান দখল করা চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের একমাত্র দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন মহাল রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার একাংশের ছাউনি কালবৈশাখী তান্ডবে উপড়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোন জন প্রতিনিধি কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে কোন রকম সাহায্য সহযোগিতা না আসায় প্রায় ৪ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া চালিয়ে গেলেও বৃষ্টি হওয়া মাত্র পাঠদান বন্ধ থাকে। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত লেখা পড়ার মান ও ফলাফল ধরে রাখা কঠিন হয়ে উঠেছে। সরে জমিনে দেখা যায়, উক্ত প্রতিষ্ঠানের এবতেদায়ী শাখার গোটা ছাউনীটি কালবৈশাখী ঝড় ও তুফানে উপড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে পড়ে থাকে। তার পরও ছাত্র-ছাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে পড়ালেখা অব্যাহত রাখে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মরত প্রায় ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এমনিতো সরকারের পক্ষ থেকে কোন রকম অনুদান না পাওয়ায় অতীব দুঃখ কষ্টে জীবন যাপন করেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক পাঠ দান দিয়ে আসছে। যার প্রমাণ ২০১৩ সালের দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে গোল্ডেন সহ ৬ জন এ প্লাস নিয়ে সদর উপজেলার দাখিল পর্যায়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। একদিকে উপকূলীয় এলাকায় অপরদিকে জেলার শিক্ষার হারের দিক দিয়ে একে বারেই নিম্ন স্থানে থাকা চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের একমাত্র দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এ ভাবে পড়ে থাকবে তা সচেতন মহল কখনো আশা করেনি। এদিকে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা বেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চৌফলদন্ডীর একমাত্র এ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এতিম ছেলের মত। এলাকার দানবীর মরহুম ফয়েজুর রহমান ২০০০ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করলে ২০০৫ সাল থেকেই সমস্ত পাবলিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দাখিল, জেডিসি, ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ছাত্র-ছাত্রীরা পাশের হার শতভাগ অক্ষুন্ন রেখেছে। সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়ে মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখাটি উপড়ে গিয়ে অন্যত্রে চলে যায়। ফলে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। তবে সরকার কিংবা জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা না পেলে সঠিকভাবে পাঠ দান দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই এ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল অব্যাহত রাখতে জরুরী ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাদ্রাসার একাংশ কালবৈশাখীর তান্ডবে ভেঙ্গে যাওয়ার খবর শুনেছি। নিজ ও সরকারের পক্ষ থেকে যে ভাবে হোক সহযোগিতা করে যাব। একই বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার ফরিদুল আলম। অপর দিকে অভিভাবকদের দাবী গ্রীষ্মের ছুটির মধ্যে ভেঙ্গে যাওয়া মাদ্রাসাটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা না হলে সঠিক পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়ে।
ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা শাখার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
আনোয়ার হোছাইন, (ঈদগাঁও) কক্সবাজার।
জাতীয় মানবাধিকার ইউনিট ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলার এক সাধারণ সভা ২০ মে বিকেলে ঈদগাঁও বাসষ্টেশস্থ এন.এস নিছিয়া কমপ্লেক্সে নিজস্ব কার্যালয়ে মানবাধিকার ইউনিট সভাপতি একরামুল হকের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহানের পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিট কক্সবাজার জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা শাখার সহ সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রশিদ তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলম, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ হেফাজত উদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আবছার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, পাঠাগার সম্পাদক হুমায়ন কবির, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কবির, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ শওকত উসমান, নির্বাহী সদস্য জহিরুল ইসলাম, ছাবেরুল ইসলাম ছাবের, মোহাম্মদ শাহজাহান, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল কাদের, নুরুল ইসলাম, শামশুল আলম, মোহাম্মদ হোসাইন শরীফ, ছৈয়দ আকবর, আনোয়ার হোসাইন ও শফি উল্লাহ। সভায় বক্তারা বলেন অবহেলিত, নির্যাতিত ও আত্ম মানবতার সেবায় কাজ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে মানবাধিকার সংরক্ষনে সৎ ও নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
=========================================
(ছবি আছে)
তাং- ২০-০৫-২০১৩ ইং
মোবাইল নং-০১৮১৮-৫৯৩২৮০